জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যু রহস্যের জট এখনো খোলেনি। ১৯৯৬ সালের আজকের দিনে সালমানের ইস্কাটনের বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এসময়ে তার বাসা থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করে পুলিশ।
একদিকে তার পরিবার ও ভক্তদের দাবি তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। অন্যদিকে পুলিশের তদন্ত রিপোর্টে বলা হয় তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন।
যে কারণে তার সুইসাইড নোট প্রবল আলোড়নের সৃষ্টি করে। কী লেখা ছিলো সালমান শাহর সেই সুইসাইড নোটে?
এক টুকরো কাগজে সালমান শাহ লিখেছিলেন, ‘আমি চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার। পিতা- কমরুদ্দীন আহমেদ আহমেদ চৌধুরী। ১৪৬/৫, গ্রীন রোড, ঢাকা #১২১৫ ওরফে সালমান শাহ এই মর্মে অঙ্গীকার করছি যে- আজ অথবা আজকের পরে যে কোনো দিন আমার মৃত্যু হলে তার জন্য কেউ দায়ী থাকবে না। সেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে, সুস্থ মস্তিষ্কে আমি আত্মহত্যা করছি।’
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সালমান শাহ আত্মহত্যাই করেছিলেন। এর পেছনে ৫টি কারণও উল্লেখ করেছেন তদন্তকর্তারা। এগুলো হলো-
১. চিত্রনায়িকা শাবনূরের সঙ্গে তার অতিরিক্ত অন্তরঙ্গতা।
২. স্ত্রী সামিরার সঙ্গে দাম্পত্য কলহ
৩. বেশি আবেগপ্রবণ হওয়ার কারণে একাধিকবার আত্মহত্যার চেষ্টা।
৪. মায়ের প্রতি অসীম ভালোবাসা, যা জটিল সম্পর্কের বেড়াজাল তৈরি করে অভিমানে রূপ নেয় এবং
৫. সন্তান না হওয়ায় দাম্পত্য জীবনে অপূর্ণতা।
তবে এই তদন্তের প্রতিবেদন মেনে নেয়নি সালমান শাহর পরিবার ও ভক্তেরা। সর্বশেষ গত বছর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল পিবিআই। এরপর গত ৩১ আগস্ট ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদের আদালতে মামলাটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণের জন্য ধার্য করা হয়েছিল। কিন্তু সালমান শাহর মা লন্ডনে থাকায় নারাজি দাখিলে সময়ের আবেদন করেন তার আইনজীবী ফারুক আহমেদ। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে শুনানির জন্য আগামী ৩১ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।