জেলার গলাচিপা পৌরসভার সিমানা হল রোড পেরিয়ে সদর ইউনিয়নের উত্তর প্রান্ত থেকে বোয়ালিয়া হয়ে পানপট্টি লঞ্চঘাট পর্যন্ত সড়কটি গত ১০ বছর ধরে ভাঙাচোড়া এ সড়কে জনদুর্ভোগ এখন চরমে। উপকূলীয় দ্বীপ উপজেলা রাঙ্গাবালীর জণগনের জেলা শহরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতের জন্য প্রধান সড়ক হলো এ সড়কটি ।
সড়কটির বিকল্প পথ না থাকায় প্রতিদিন রাঙ্গাবালীর ৬টি ইউনিয়ন ও গলাচিপার ২টি ইউনিয়নের রোগীসহ নানা শ্রেণী পেশার হাজার হাজার মানুষ এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে থাকে। বেশ কয়েক বছর ধরে সাড়ে ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটির বেশির ভাগ অংশে কার্পেটিং ও ইটের সলিং উঠে যাওয়ার ফলে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তাই প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা।
অনেকের হয়েছে জীবন নাশ ও আবার অনেকে হাত-পা ভেঙ্গে পড়ে আছেন শয্যাশায়ী অবস্থায়। চলাচলের অনুপযুক্ত এ সড়কটিতে প্রতিনিয়ত পণ্যবাহী ট্রাক-পিকআপ বা যাত্রীবাহী বাস বিকল হয়ে পড়ে। এর ফলে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট সহ প্রায়শই ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা-অথচ দেখার যেন কেউ নেই। সড়কটির দুপাশে রয়েছে একটি মহিলা ডিগ্রী কলেজ, দুটি মাধ্যমিক, পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২টি মাদ্রাসা ও সাতটি বাজার।
তাই এ গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন বলে দাবি স্থানীয়দের। সরক ও জনপদ ( সওজ) বিভাগ সড়কটি অতিদ্রুত জরাজীর্ণ সড়কটি মেরামত না করার ফলে, প্রতিদিন মুমূর্ষু রোগীসহ হাজার হাজার জনসাধারণ আরও কতদিন দূর্ঘটনা এবং দূর্ভোগের স্বীকার হবে সেটাই এখন দেখার বিষয়। স্থানীয় জনসাধারণের দাবি অচিরেই যেন সড়কটি মেরামত করে সাধারণ জনগণের সিমাহীন দূর্ভোগ থেকে মুক্তি পায়। এ ব্যাপারে পটুয়াখালী-৩(গলাচিপা-দশমিনা) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদা বলেন, আমি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সভায় বিষয়টি সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি, তারা আশ্বস্ত করেছেন বর্ষা মৌসুম শেষ হওয়ার পূর্বেই দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।