রিয়াদ মাহারাজের জোড়া গোলে লিগ কাপের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে ওয়েকম ওয়ান্ডারার্সকে গোল বন্যায় ভাসিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। ঘরের মাঠে সিটিজেনদের জয় ৬-১ গোলের ব্যবধানে। আরেক ম্যাচে জয় পেয়েছে লিভারপুল। নরউইচ সিটির বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয় অলরেডদের।
ম্যাচে অঘটনের সম্ভাবনা জাগিয়েও শেষমেষ হাফ ডজন গোল হজম করতে হয়েছে ওয়েকম ওয়ান্ডারার্সকে। ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওয়ালা এই ম্যাচে করেছেন ব্যাপক পরীক্ষা নিরীক্ষা। ২২ মিনিটে এতিহাদে প্রথম গোলটি পেয়েছিল ওয়েকম। তবে এখানেই থামতে হয় তাদের। পরের গল্পটা শুধুই সিটিজেনদের।
ফোডেরেনের সহায়তায় দলকে সমতায় ফেরান ক্যাভিন ডি ব্রুইনা। আর ৪৩ মিনিটে লেফটব্যাক উইলসন-এসব্র্যান্ডের সহায়তায় দলকে এগিয়ে দেন মাহরেজ। দুই মিনিট পরে ব্যবধান বাড়ান ফিল ফোডেন। এবার বল বানিয়ে দিলেন মাহরেজ।
৭১ মিনিটে গোলের খাতায় নাম তোলেন স্প্যানিশ উইঙ্গার ফেরান তোরেস। আর ৮৩ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় ও দলের পঞ্চম গোল করেন মাহরেজ। আর শেষ গোলটি আসে কোল পালমারের পা থেকে। ৬-১ গোলের জয়ে নিয়ে পরের রাউন্ডে নিশ্চিত হলো সিটির।
আরেক ম্যাচে দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে মাঠে নামে লিভারপুল। যদিও নরউইচ সিটির বিপক্ষে অনায়াসে জয় পেয়েছে তারা। শুরু থেকেই আধিপত্য দেখানো শুরু করে লিভারপুল। চার মিনিটেই এগিয়ে যায় অলরেডরা। কর্নার থেকে নরউইচের গোলকিপার অ্যাঙ্গাস গানকে বোকা বানিয়ে বল জালে জড়ান জাপানি মিনামিনো। ম্যাচে সমতা আনার সুযোগ পেয়েছিল নরউইচ। তবে সে সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেনি দলটা। ৪২ মিনিটে পেনাল্টি পেলেও দলে নতুন আসা গ্রিক ফরোয়ার্ড ক্রিস্টিয়ান জোলিস পেনাল্টি মিস করেন। লিভারপুলের তরুণ গোলকিপার খুইভিন কেলেহার ঠেকিয়ে দেন সে পেনাল্টি।
এরপর আর বিপক্ষ দলকে সুযোগ দেয়নি লিভারপুল। ৫০ মিনিটে গ্রিক লেফটব্যাক কসতাস সিমিকাসের ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে গোল করেন অরিগি। আর ৮০ মিনিটে আবারও দৃশ্যপটে মিনামিনোর আগমন। শেষ পর্যন্ত ৩-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লিভারপুল।