রাজধানীতে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা করে। এছাড়া ঢাকার বাইরে কোথাও কোথাও কেজি প্রতি ৩০ টাকা বৃদ্ধির খবরও পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, আমদানি বন্ধ থাকায় পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। এতে খুচরা বাজারেও বেড়েছে।
অন্যদিকে পেঁয়াজের দাম বাড়ার কোনো নির্দিষ্ট কারণ জানান নি পাইকারি ব্যবসায়ী ও আড়তদাররা। আর ভারত বা বাংলাদেশ কোনো পক্ষই পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ করেছে এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। আমদানিকারকরাও বলছেন, পেঁয়াজের আমদানির গতি কিছুটা কমলেও বন্ধ হয়নি। ভারতে বৃষ্টির কারণে কিছু পেঁয়াজ নষ্ট হওয়ায় গতি কমেছে।
এদিকে রাজধানীর খুচরা বাজারে শুক্রবার দেশি জাতের যে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি, গতকাল সেগুলোই ৬০ থেকে ৬৫ টাকা চাইলেন বিক্রেতারা। এ ছাড়া আমদানির পেঁয়াজ দুদিন আগেও বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকা কেজি। গতকাল খুচরা বিক্রেতারা সেই পেঁয়াজের দাম চাইলেন ৬০ টাকা কেজি।
দেশের অন্যতম বৃহত্তর পেঁয়াজের আড়ত শ্যামবাজারে গত সপ্তাহের শেষ দিকে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা কেজি। গতকাল সেই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকা কেজি। আমদানির পেঁয়াজ গত সপ্তাহে ছিল ৩০ থেকে ৩২ টাকা কেজি। গতকাল তা ৪৭ থেকে ৪৮ টাকা কেজিতে উঠে গেছে।
শ্যামবাজার পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজি আবদুল মাজেদ বলেন, কাঁচামালের বাজার এমনই। সরবরাহ কমে গেলে দাম বাড়ে। বাজারে এখন পেঁয়াজ কম তাই দামও বেশি।
জানা গেছে, হিলি বা বেনাপোল কোনো বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়নি। তবে পূজার কারণে সীমান্তের ওপার থেকে পেঁয়াজসহ সব ধরনের পণ্যবাহী পরিবহন আসছে কম। তবে পেঁয়াজের তেমন কোনো ঘাটতি নেই। তার পরও দাম বাড়ছে।