রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চিৎমরম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী নেথোয়াই মারমাকে (৫৬) গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তিনি ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতিরও দায়িত্বে ছিলেন। আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ছিলেন তিনি।
শনিবার (১৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১২টার পরে চিৎমরমের আগাপাড়া এলাকায় নিজ বাড়িতেই তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে দায়ি করেছেন কাপ্তাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অংসচাইন চৌধুরী এবং রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মুছা মাতবর।
অংসুচাইন চৌধুরী জানান, এতদিন উপজেলা রেস্ট হাউজেই ছিলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী নেথোয়াই মারমা। আজই মনোনয়ন জমা দিয়ে চিৎমরমে এলাকায় গিয়েছিলেন নেতাকর্মী ও স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে। রাতে তার নিজ বাড়িতে জেএসএস-এর একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী এসে তাকে গুলি করে হত্যা করে গেছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
তিনি আরো জানান, চিৎমরমে দুইজন যুবলীগ নেতাকে হত্যার ঘটনার পর নেথোয়াই উপজেলা সদরে রেস্ট হাউজেই বসবাস করতেন। কিন্তু বাড়ি যাওয়ার পরে রাত ১২টার পরে তার আগাপাড়া এলাকার বাসায় প্রায় ১৪/১৫ জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী দরজা ভেঙে প্রবেশ করে তাকে গুলি করে হত্যা করে। এই হত্যাকাণ্ড নিঃসন্দেহে সন্তু লারমার জনসংহতি সমিতির কাজ।
কাপ্তাইয়ের চন্দ্রঘোণা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, নৌকার প্রার্থী নেথোয়াই মারমাকে গুলি করে হত্যা করেছে একদল দুর্বৃত্ত। তবে কি কারণে বা কারা এই হত্যার সঙ্গে জড়িত তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মুছা মাতবর এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ‘জনসংহতি সমিতি’কে দায়ি করে বলেছেন, পাহাড়ে নির্বাচন আসলেই হত্যাকাণ্ডে মেতে উঠে এই সন্ত্রাসী সংগঠনটি। তিনি আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পার্বত্য জেলার সকল ইউনিয়নের প্রার্থীদের নিরাপদে ও সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়ে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আইন-শৃংখলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।