সারাদেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উপর হামলা, বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, ধর্ষণ, মন্দিরে হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুরের প্রতিবাদে লালমনিরহাটে মানববন্ধন বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে বাংলাদেশ হিন্দু, বৈদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ লামনিরহাট জেলা শাখার আয়োজনে জেলার গোশালা বাজার মন্দির থেকে ৪/৫ হাজারের একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ শেষে মিশনমোড় গোল চত্বরে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সাম্প্রদায়িক হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে আসছে।
কিন্তু বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েই চলছে। সম্প্রতি কুমিল্লা, চাঁদপুর, উলিপুর, পীরগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দুদের বাড়িঘর, মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং প্রতিমা ভাঙচুর নিন্দনীয় ও ন্যাক্কারজনক। এসব ঘটনায় সংখ্যালঘুরা শঙ্কিত ও আতঙ্কিত।
নেতৃবৃন্দ বলেন, দলমত নির্বিশেষে সরকারের উচিত জরুরী ভাবে এদেশের সকল ধর্মের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। তা না হলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর একের এক এধরণের ঘটনা ঘটতেই থাকবে। আজ সারাদেশে হিন্দুধর্মাবলম্বীরা উদ্বিগ্ন ও আতঙ্কে বাস করছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশে সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে
হিন্দু সুরক্ষা আইন প্রনয়ণ করাসহ জাতিগত ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর সার্বিক নিরাপত্তা প্রদানে সরকারকে দ্রুতগতীতে পদক্ষেণ নেয়ার আহ্বান জানান তারা।
বাংলাদেশ হিন্দু, বৈদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ লামনিরহাট জেলা শাখার সভাপতি বাবু শৈলন্দ্র নাথ’র সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, পুজা উদযাপন পরিষদ লালমনিরহাট জেলা শাখার সভাপতি বাবু হিরা লাল রায়, শ্রী শ্রী রাঁধা গিরিধারী মন্দির, ইস্কন’র অধ্যক্ষ মহা কৃষ্ণ প্রেমদাস ব্রহ্মচারী, বাংলাদেশ হিন্দু, বৈদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ লামনিরহাট জেলা শাখার অন্যতম নেতা জেমস্ আশিষ দাস, পুজা উদযাপন পরিষদ লালমনিরহাট সদর উপজেলার সভাপতি বাবু সুবল চন্দ্র রায় প্রমুখ। জিন্নাতুল ইসলাম জিন্না, লালমনিরহাট ০১৯১৫-০৩০৩৮৭, ২