রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এবারের বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করাই ছিলো অনিশ্চিত। এরপর বিশ্বকাপের দল যখন ঘোষণা করা হলো, তখন দলটির অধিনায়ক রশিদ খান পদত্যাগের ঘোষণা দেন। দলে থাকলেও নেতৃত্ব দেবেন না তিনি। পরিবর্তে দায়িত্ব দেয়া হয় মোহাম্মদ নবির ঘাড়ে।
সেই দলই বিশ্বকাপের মূলপর্ব শুরু করলো ১৩০ রানের বিশাল ব্যবধানে। সে সঙ্গে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে, টি-টোয়েন্টি সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়ের রেকর্ডও গড়লো তারা। এর আগে তাদের সবচেয়ে বড় জয় ছিল ১০৬ রানের।
প্রথমে ব্যাটিংয়ে আফগানিস্তানের দেয়া ১৯১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে স্কটল্যান্ড মাত্র ১০.২ ওভারে ৬০ রানেই গুটিয়ে যায়।
টস জিতে ব্যাট করতে নামার পর হযরতুল্লাহ জাজাই, রহমানুল্লাহ গুরবাজ এবং নজিবুল্লাহ জাদরানদের তাণ্ডবে একের পর এক বল আছড়ে পড়তে থাকে গ্যালারিতে। শেষ পর্যন্ত এবারের বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ স্কোর গড়েন আফগান ব্যাটাররা। ৪ উইকেট হারিয়ে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৯০ রান।
১৯১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে জর্জ মানসে এবং কাইল কোয়েৎজার মিলে শুরুটা একটু ভালোই করেছিলেন। ৩.২ ওভারে ২৮ রানের জুটি গড়েন দু’জন। এরপরই শুরু হয় মুজিব-উর রহমানের মায়াবী জাদু। তার বলে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে স্কটিশরা।
ওই এক ওভারেই তিন উইকেট হারায় আফগানিস্তান। কাইল কোয়েৎজার, কালাম ম্যাকলেয়ড এবং রিচি বেরিংটন ফিরে যান মুজিবের বলে। নাভিন উল হকের বলে উইকেট দিয়ে ফিরে যান ম্যাথ্যু ক্রস। নিজের পরের ওভারেই মুজিব তুলে নিলেন ওপেনার জর্জ মানসের উইকেট। যিনি সর্বোচ্চ ২৫ রান করেন।
এরপর দৃশ্যপটে চলে আসেন রশিদ খান। বল করতে এসেই তুলে নিলেন মাইকেল লিস্কের উইকেট। ক্রিস গ্রিভসকেও সাজঘরে ফেরত পাঠান রশিদ। মুজিব-উর রহমান নিজের শেষ ওভারে বল করতে এসে তুলে নিলেন ফাইফার। অর্থ্যাৎ, তার পঞ্চম শিকার মার্ক ওয়াট।
১১তম ওভাররে প্রথম দুই বলে জস ডেভি এবং ব্রাড হুইলের উইকেট রশিদ খান তুলে নিতেই শেষ হয়ে যায় স্কটল্যান্ডের ইনিংস।
৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন মুজিব-উর রহমান। ২.২ ওভার বল করে ৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন রশিদ খান এবং বাকি উইকেটটি নেন নাভিন উল হক।