দৈনিক যুগান্তরের সিনিয়র সাব-এডিটর (জ্যেষ্ঠ সহ-সম্পাদক) ও ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের সদস্য অলিউল ইসলাম (অলি হাওলাদার) আর নেই। শুক্ররাব দিবাগত রাত ১টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি—রাজিউন)।
তার বয়স হয়েছিল ৬২ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। তার বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার বকুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের লামনা গ্রামে। স্বজনরা ঢাকা থেকে লাশ নিয়ে শনিবার দুপুরে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছেন। সেখানে এলাকার মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বাদ আসর লামান ছালেহিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা মাঠে জানাজা হয়। পরে লাশ পারিবারিক গোরস্তানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়।
অলি হাওলাদর দীর্ঘদিন দৈনিক ইনকিলাবে সাব-এডিটর ও সিনিয়র সাব-এডিটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি যুগান্তরে যোগ দেন। গত বছর জুন মাসে ব্রেইন স্ট্রোক হলে কয়েক মাস তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়। এরপর থেকে তিনি বাসায় অবস্থান করছিলেন।
শুক্রবার রাতে আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের সদস্যরা তাকে হাসপাতালে নেওয়ার প্রস্তুতি নেন। কিন্তু এর মধ্যেই তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন। তার এই অকাল মৃত্যুতে যুগান্তর পরিবার ও ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিল গভীর শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে।
অলি হাওলাদারের জন্ম এক সম্ভান্ত পরিবারে। বাবার নাম মোতাহার হোসেন হাওলাদার। তার (অলি হাওলাদার) বড় ভাই আনোয়ার হোসেন হাওলাদার জাতীয় পার্টির হয়ে ১৯৮৮ সালে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি নানাবিধ সমাজসেবামূলক কাজে যুক্ত ছিলেন অলি হাওলাদার।
তার মৃত্যুতে পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদা, উপজেলা চেয়ারম্যান মু. শাহিন শাহ, মেয়র আহসানুল হক তুহিন, গলাচিপা প্রেস ক্লাবের সভাপতি সমিত কুমার দত্ত মলয় , উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিষ কুমার, থানা অফিসার ইনচার্জ শওকাত আনোয়ার, উপজেলা আ. লীগের সভাপতি সন্তোষ কুমার দে, সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা টিটোসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা গভীর শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।