স্ত্রী সালমা আক্তার পুটিকে (৪৫) গলাকেটে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন স্বামী আব্দুল্লাহ। রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় নিজের স্ত্রীকে খুন করে আব্দুল্লাহ।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় তারাগঞ্জ থানার ওসি ফারুক আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগের দিন শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের মাদরাসাপাড়া গ্রাম সালমা আক্তারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতের খাবার খেয়ে স্বামীসহ ঘুমিয়ে পড়েন সালমা। রাত আড়াইটার দিকে আব্দুল্লাহর চিৎকার শুনে পরিবারের অন্য সদস্যরাসহ আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। ঘরে ঢুকে বিছানায় সালমা আক্তারের গলাকাটা মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে তারা।
এ সময় আব্দুল্লাহ তাদের জানান, প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে বের হয়েছিলেন। কয়েক মিনিট পর ঘরে ফিরে স্ত্রীর গলা কাটা মরদেহ দেখে চিৎকার করেন তিনি। তবে নিহতের ছোট ভাই ভুট্টু মিয়ার শুরু থেকেই তাকে সন্দেহ ছিলো। তিনি বলেন, গরু বিক্রির টাকা ও বসত ভিটার জমির ভাগ নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে আমার বোনের মনোমালিন্য চলে।
পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সালমা আক্তারের স্বামী আব্দুল্লাহকে আটক করে পুলিশ। আব্দুল্লাহ শুরুতে আসল ঘটনা অস্বীকার করলেও করলেও পরে নিজে স্ত্রীর গলাকেটে হত্যা করেছেন বলে স্বীকার করেন।
তারাগঞ্জ থানার ওসি ফারুক আহমেদ জানান, পারিবারিক কলহের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার পর আব্দুল্লাহকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় হত্যা মামলা করা হয়েছে।