বিতর্কিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির কর্মকাণ্ডে সহযোগিতার অভিযোগে অভিনেত্রী শবনম ফারিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন সংগীতশিল্পী তাহসান খান, অভিনেত্রী মিথিলা। এ মামলায় যেকোনো সময় গ্রেপ্তার হতে পারেন তারা।
গত ৪ ডিসেম্বর সাদ স্যাম রহমান নামের ইভ্যালির এক গ্রাহক ধানমন্ডি থানায় মামলাটি করেন। শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
শবনম ফারিয়া প্রতিষ্ঠানটির প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা ছিলেন। মামলা প্রসঙ্গে এক গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, মামলা আমি তখন লড়ার প্রস্তুতি নেব যখন জানব এখানে আমার দোষ ছিল। আমি যে মাসে ইভ্যালিতে জয়েন করি সে মাসে ইভ্যালির যে পেমেন্টের পয়েন্ট ছিল তা ৭ দিন পরই বন্ধ হয়ে গেছে। আর আমি ইভ্যালিতে জয়েন করার পর কখনো ইভ্যালি নিয়ে কোনো পোস্ট দেই নাই, প্রমোশন করি নাই। কারণ ওদের সাথে আমার কথা ছিল আমি সামনে কোনো কাজ করব না। পেছনে থেকে অফিশিয়াল কাজ করব।
তিনি আরও বলেন, আমাকে যে কয়েকটা অপরাধ দেখানো হয়েছে সেগুলোর সাথে আমার মিলছে না। আর আমি এখনো ইভ্যালি থেকে এক টাকাও পাইনি। যে অভিযোগ করেছে সেগুলোর সাথে আমি সম্পৃক্ত না। আমি কখনো প্রমোশন করি নাই। আমি প্রমোশনের জন্য অনেক টাকা নেই। বেতনের টাকা নিয়ে আমি প্রমোশন করব না। আমি আগেই বলেছি চাকরি নেওয়ার সময়।
ফারিয়া আরও বলেন, আমি ফেসবুকে কোনো রকম পোস্ট শেয়ার করিনি। কারণ আমি জয়েন করতে করতেই তাদের ঝামেলা শুরু হয়ে যায়। আমি কোনো কাজই করতে পারিনি তাদের সাথে। আমাকে মূলত হয়রানি করার জন্যই এ মামলা করা হয়েছে। কেন হয়রানি, কী জন্য হয়রানি সেটা তো আমি জানি না। আর থানা পুলিশ বলেছে, তারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখবে আমার সম্পৃক্ততা আছে কিনা। আমি শিউর উনারা আমার সম্পৃক্ততা পাবে না।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- গ্রেপ্তার হওয়া ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল, তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন, আকাশ, আরিফ, তাহের ও মো. আবু তাইশ কায়েস।
উল্লেখ্য, সাদ স্যাম রহমান তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, প্রতারণামূলকভাবে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ ও সহায়তা করা হয়েছে। আত্মসাতে টাকার পরিমাণ ৩ লাখ ১৮ হাজার টাকা, যা তিনি এখনো উদ্ধার করতে পারেননি।