গলাচিপা সরকারি কলেজে চলমান ২০২১ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে প্রতিটি বিষয় ৩ শত
টাকা হারে তিন বিষয় ৯ শত টাকা জন প্রতি আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে ১ লক্ষ ১৬ হাজার টাকা। শিক্ষাবোর্ড বলছে ব্যবহারিক বিষয় কোন অবস্থাতেই ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করা যাবে না।যা বোর্ডের নীতি বহির্ভূত।
জানা গেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড বরিশাল এর অধীনে এইচ এস সি পরীক্ষা গত ২ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে ৩০ ডিসেম্বর শেষ হবে। সরকার করোনাকালীন সময় সব গুলো বিষয়ের পরীক্ষা না নিয়ে বিভাগ ভিত্তিক তিনটি বিষয় নির্বাচন করে। এর ফলে গলাচিপা সরকারি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে ১ শত ২৯ জন ছাত্র-ছাত্রী গলাচিপা মহিলা ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেয়। ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবক মতিউর রহমান জানান, আমার ছেলে গলাচিপা সরকারি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগের তিন বিষয় পরীক্ষা দিচ্ছে। ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য কলেজে ৯ শত টাকা দিয়েছি।
অভিভাবক মান্নান হাওলাদার ও আমিনুল ইসলাম একই অভিযোগ করেন। এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ছাত্র জানায়, ৯ শত টাকা না দিলে ব্যবহারিক পরীক্ষায় নম্বর কম দিবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা। তারা আরো জানায়, প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করেছে যা তদন্ত করলে বেড়িয়ে আসবে। ওই কলেজের প্রাণি বিদ্যা বিভাগের শিক্ষক মো.জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, বিষয়টি বিভাগীয় প্রধান স্যারদের বিষয় আমি এ বিষয় কিছু জানি না। এ ব্যাপারে ওই কলেজের জীববিদ্যা বিভাগের প্রধান মনিরুল ইসলামকে মুঠো ফোনে একাধীকবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। গলাচিপা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো.ফোরকান কবির জানান, ব্যবহারিক পরীক্ষায় টাকা নেয়ার কোন নিয়ম নেই। এ ধরনের ঘটনা ঘটলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে গলাচিপা সরকারি কলেজের সভাপতি ও
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিষ কুমার জানান, বিষয়টি আমি আদৌ জানিনা না।তবে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড বরিশাল এর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুন কুমার গাইন জানান, ফরম পূরণের সময়ই ব্যবহারিক পরীক্ষার টাকা নেয়া হয়েছে। কোন অবস্থাতেই ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করা যাবে না। যদি কোন কলেজ কর্তৃপক্ষ টাকা উত্তোলন করে থাকেন তা হলে বোর্ড চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।