শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীরা ৩ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা থেকে আন্দোলন করে। এরপর গতকাল শুক্রবার বিকেলে আন্দোলনরত ছাত্রীরা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আজ শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে আন্দোলন স্থগিত করেন। দাবি মানা না হলে ফের আন্দোলনে নামবেন বলে জানান তাঁরা।
এরইমধ্যে বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছাত্রী হলের ভারপ্রাপ্ত প্রভোস্ট হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জোবেদা কনক খান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
বলা হয়েছে, প্রভোস্ট জাফরিন আহমেদ লিজা করোনা পজিটিভ শনাক্ত হওয়ায় ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পেয়েছেন সহযোগী অধ্যাপক জোবেদা।
শিক্ষার্থীদের ৩ দফা দাবিগুলো হলো- সিরাজুন্নেসা হলের প্রভোস্ট ও সহকারী প্রভোস্টদের পদত্যাগ, অবিলম্বে হলের যাবতীয় অব্যবস্থাপনা দূর করে সুস্থ-স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং ছাত্রীবান্ধব ও দায়িত্বশীল প্রভোস্ট কমিটি নিয়োগ।
ওই দিন সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রীরা বলেন, শনিবার সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে তাঁদের প্রধান দাবি জাফরিন লিজাকে পরিবর্তন করে নতুন প্রভোস্ট নিয়োগ দিতে হবে। তা না হলে ছাত্রীরা হলের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, আগে থেকেই হল কর্তৃপক্ষের কাছে ডাবলিং নিষিদ্ধ করা, গণরুম না রাখা, অভিভাবকদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া, খাবারের মান উন্নত করাসহ বেশকিছু দাবি উত্থাপন করে আসছিলেন তাঁরা।
উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমদ জানান, শিক্ষার্থীদের সমস্যা ও দাবি নিয়ে বৈঠক হয়েছে। তাদের দাবি পূরণের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। যদিও ‘বৈঠক ফলপ্রসু হয়নি’ বলে দাবি ওই হল ছাত্রীদের।
এক প্রশ্নের উত্তরে উপাচার্য জানান, বর্তমান প্রভোস্ট জাফরিন আহমেদ লিজা করোনা পজিটিভ থাকায় ছুটিতে আছেন। তাই, ভারপ্রাপ্ত প্রভোস্ট হিসেবে সহযোগী অধ্যাপক জোবেদা কনক খানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।