January 7, 2025, 4:23 pm

‘দুই শিশু তাদের জাপানি মায়ের কাছেই থাকবে’।

অনলাইন ডেক্স
  • Update Time : Sunday, February 13, 2022,
  • 12 Time View

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক ইমরান শরীফ ও জাপানি নাগরিক ডা. এরিকো নাকানোর দুই মেয়েকে নিয়ে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আদেশে বলা হয়েছে, মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দুই মেয়ে জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনা তাদের মায়ের সঙ্গেই থাকবে। এই সময়ে নাকানো এরিকো শিশুদের নিয়ে দেশত্যাগ করতে পারবেন না। বাবা ইমরান শরীফ শিশুদের সঙ্গে সুবিধাজনক সময়ে দেখা করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন আদালত। রায়ে এই দুই সন্তানের সকল খরচ পিতাকে বহন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দুই শিশুর জিম্মা নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করে রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। একইসঙ্গে তিন মাসের মধ্যে ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতকে দুই শিশুর জিম্মা সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তি করতে বলেছেন আদালত।

বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি নুরুজ্জামান, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি বোরহান উদ্দিন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ।

আদালতে মায়ের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি ও অ্যাডভোকেট আহসানুল করীম। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।

আর বাবার পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ফিদা এম কামাল, আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ ও অনীক আর হক। তাদের সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার মারুফুল ইসলাম।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, আদালত বলেছেন, শিশুরা মায়ের কাছেই থাকবে। তবে এই সময়ে তাদের নিয়ে দেশের বাইরে যাওয়া যাবে না।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি জাপানি দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনাকে নিজের জিম্মায় নিতে জাপানি মা নাকানো এরিকোর দায়ের করা আপিলের শুনানি শেষ হয়। এ বিষয়ে রায়ের জন্য ১৩ ফেব্রুয়ারি ধার্য করা হয়।

গত ২১ ফেব্রুয়ারি ইমরান দুই মেয়ে জেসমিন ও লিনাকে নিয়ে দুবাই হয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। এরিকো বাংলাদেশে এসে এ নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেন। এরই ধারাবাহিকতায় আদালত গুলশানে একটি ভাড়া বাসায় সবাইকে আলাদা কক্ষে বসবাসের অনুমতি দেন। পাশাপাশি সমঝোতা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। কিন্তু উভয়পক্ষের আইনজীবী কয়েকবার বৈঠকেও সমঝোতায় আসতে পারেননি।

সর্বশেষ ৩০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট মেয়েদের এরিকোর সঙ্গে গুলশানের বাসায় থাকার আদেশ দেন। আর বাবা ইমরান শরীফকে দিনের বেলা তাদের সঙ্গে দেখা ও সময় কাটাতে পারবেন বলে সুযোগ দেন। পরে ৩১ অক্টোবর ২ রিটের শুনানি শেষে ২১ নভেম্বর রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে বলা হয়, তবে জাপান থেকে এসে মা বছরে তিনবার ১০ দিন করে দুই সন্তানের সঙ্গে একান্তে সময় কাটাতে পারবেন। জাপানি মায়ের আসা-যাওয়া ও থাকা-খাওয়ার সব খরচ বাবা ইমরান শরীফকে বহন করতে হবে।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তা-হোস্ট
tmnews71