বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম সেরা নায়ক মান্না ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর পর তাকে সমাধি করা হয় তার নিজ গ্রাম টাঙ্গাইলের এলেঙ্গায়। তার মৃত্যুর পর কবর সংস্কার নিয়ে নানা জটিলতা ছিল। সেই জটিলতা কাটিয়ে সংস্কার করা হয় নায়ক মান্নার কবর।
এ বিষয়ে মান্নার স্ত্রী শেলী মান্না বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কবরটির সংস্কার করা সম্ভব হয়নি। তার বড় কারণ হলো এটি পারিবারিক কবরস্থান হওয়ায় অনেকের সিদ্ধান্তের ব্যাপার ছিল। এর আগে আমরা মান্নার কবরটি সংস্কার করেছিলাম। নিচু জায়গায় হওয়ায় কবরে মাটি ফেলতে হয়েছে। এছাড়া মান্নার চাচা প্রবাসী হওয়ায় তারও আসার একটা ব্যাপার ছিল। উনি আসার পর আবারও মাটি ফেলেন। অবশেষে মান্নার চাচার পারমিশন পাওয়ায় আমরা কবরটি সংস্কার করলাম।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অনেকের আক্রমনাত্মক কথার বিষয়ে মান্নার স্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের মতো করে কবরটি সংস্কার করতে চেয়েছিলাম। অবশেষে আমরা অনেক বাধা অতিক্রম করে সংস্কার করতে পেরেছি। তবে একটি
সমস্যা এখনো রয়ে গেছে। সমাধিস্থলের সামনে প্রাচীর দেয়ার কারণে ভক্তদের কবর দেখতে ও কবর জিয়ারত করতে অনেকটা ঝামেলা হবে। এমনকি তারা ভেতরে যাওয়ার অনুমতি না পেলে দেখতে পারবেন না। তাই মান্নার চাচার প্রতি আমার অনুরোধ যেন প্রাচীরটা খুলে দিয়ে ভক্তদের সহজে দেখার ব্যবস্থা করে দেন।
প্রয়াত নায়ক মান্নার ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া চেয়েছেন অভিনেতার স্ত্রী। ১৯৬৪ সালে টাঙ্গাইলের কালিহাতীর এলেঙ্গায় জন্মগ্রহণ করেন মান্না। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করার পরই ১৯৮৪ সালে তিনি ‘নতুন মুখের সন্ধ্যানে’ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আসেন।