ধামরাইয়ে সিএনজি-প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে মা ও দুই ছেলেসহ একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। এসময় গুরুতর আহত হয়েছেন আরো একজন।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ধামরাই ধানতারা সড়কের ঢুলিভিটা মমতাজ ডায়াবেটিস হাসপাতালের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, ধামরাইয়ের বাড়ারিয়া এলাকার নাসির উদ্দিনের স্ত্রী পিয়ারা বেগম (৫০), তার দুই ছেলে আখতার উদ্দিন হাসিব (২৪) ও ছোটন খান (১৮)।
জানা গেছে, তারা সিএনজিযোগে ঢুলিভিটা যাচ্ছিল। এসময় সিএনজি চালক আহত হয়েছেন। তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে প্রাইভেটকারের চালক পালিয়ে গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, পিয়ারা বেগম তার দুই ছেলেকে নিয়ে আত্মীয়ের বাড়ি যাওয়ার জন্য নিজ বাড়ি থেকে সিএনজিযোগে ঢুলিভিটায় রওনা হন। তারা ঢুলিভিটা মমতাজ ডায়াবেটিস হাসপাতালের কাছে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের প্রথমে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রো নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক ছোটন খানকে মৃত ঘোষণা করেন। আর গুরুতর আহত পিয়ার বেগম ও তার অপর ছেলে নাসিব খানকে অন্য হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিসক মৃত ঘোষণা করেন।
ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুর রিফফাত আরা জানান, ধামরাইয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন মারা যান ও বাকী দুইজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। নিহেতর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতিকুর রহমান জানান, ঢুলিভিটা মমতাজ ডায়াবেটিস হাসপাতালের কাছে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় পিয়ারা বেগম, তার দুই ছেলে আখতার উদ্দিন হাসিব ও ছোটন খান মারা যায়। তারা সিএনজিযোগে ঢুলিভিটা যাচ্ছিল বলে জানা গেছে।