রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) ১, ২ ও ৩ নম্বর হলে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) শুরু হতে যাচ্ছে তিন দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ জুয়েলারি এক্সপো ২০২২। ’
দেশের ঐতিহ্যবাহী বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) আয়োজনে এই মেলা চলবে ১৭ থেকে ১৯ মার্চ পর্যন্ত, যা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সকল ক্রেতা-দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
এর মধ্যে মেলায় আগত দর্শনার্থীদের জন্য ১০ লাখ টাকার প্রথম পুরস্কার ছাড়াও থাকবে আর্কষণীয় সব উপহার, যেখানে র্যাফেল ড্রর মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন বিজয়ীরা।
অর্থনৈতিক খাতের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা গতিশীল করতে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জুয়েলারি এক্সপো আয়োজনের কথা জানিয়েছে বাজুস।
বুধবার (১৬ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি জানিয়েছে, আগামী ১৭ মার্চ থেকে ১৯ মার্চ পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে দর্শনার্থী ও ক্রেতারা মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন। তিন দিনের এই এক্সপোতে দুই লাখেরও বেশি দর্শনার্থী এবং ক্রেতার সমাগম ঘটবে বলে আশা করছেন আয়োজকরা।
এ দেশের স্বর্ণ শিল্পীদের হাতে গড়া নিত্য নতুন ডিজাইনের অলংকারের পরিচিতি ঘটাতে জুয়েলারি এক্সপোতে দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
বাজুস জানিয়েছে, হাজার বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দুঃসাহসিক এক অভিযাত্রায় সহযাত্রীদের সঙ্গে নিয়ে দেশের অর্থনৈতিক খাতের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় যোগ দিতে বাজুস এই প্রথম জুয়েলারি এক্সপোর আয়োজন করেছে।
এছাড়াও বাংলাদেশ জুয়েলারি এক্সপো ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন-৪১ বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা করছেন আয়োজকরা।
দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীরের নির্দেশনায় দেশের অর্থনৈতিক উন্নতিতে সহায়ক ভূমিকা রাখতে এই এক্সপোর আয়োজন করা হয়েছে।
এই এক্সপো দেশীয় অলংকার শিল্পকে সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে বাংলাদেশকে স্বর্ণ এবং স্বর্ণজাত শিল্প রপ্তানির ক্ষেত্রে একটি শক্ত অবস্থানে নিতে অবদান রাখবে, যা জিডিপি হারকে সন্তোষজনক পর্যায়ে উন্নীত করতে সক্ষম হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর।
তিন দিনের এই এক্সপোতে বাংলাদেশের জুয়েলারি শিল্পের বিদ্যমান অবস্থা এবং এর ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা সম্পর্কে দেশের ১৮ কোটি মানুষ অবগত হবে। এক্সপোতে মোট ৭০টিরও বেশি স্টল থাকবে।