পটুয়াখালী সদর উপজেলার লাউকাঠি ইউনিয়নের কিসমত মৌকরণ এলাকার মৃত্যু আপ্তার আলী গাজীর ছেলে গাজী হাবিবুর রহমান এর বড় ভাইয়ের ছেলে গত ২০১৯ সালের ৯ মার্চ আত্নগোপনে চলে জায় ।
এ বিষয়ে প্রথমে পটুয়াখালী সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেণ যাহার নাম্বার ৩৯৩ তারিখ ৯ মার্চ ২০১৯, এর কিছুদিন পরে হাবিব গাজী ( ভিকটিমের সত চাচা) পটুয়াখালীর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিনিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন যার নাম্বার সি আর মামলা নং ৯৭৪/২০১৯ তারিখ ২০শে অক্টোবর-২০১৯ ।
উক্ত মামলায় পটুয়াখালী সদর থানায় এজাহারের জন্য নির্দেশ দেন, পটুয়াখালী থানার মামলা নাম্বার ৫৫৭/১৯ এ মামলায় প্রতিপক্ষ তরিকুল ইসলাম কবির,মো: সোহেল আকন,মো: বেল্লাল আকন,মো: আ:রব আকন,রশিদ আকন,মান্নান আকন,সোহরাব গাজী, এবং মজিবর গাজীসহ মোট আট জনকে আসামী করা হয় ।
এ ঘটনার তদন্তভার প্রথমে পটুয়াখালী সদর থানার এস আই মেহেদী এবং পরে এস আই রতন কুমার হাওলাদার তদন্ত পূর্বক চুরান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন । সেখানে গুম হওয়া ব্যাক্তিকে উদ্ধার করা হয় এবং প্রতিবেদনে বলা হয় আসলে ঐ গুম হওয়া ব্যাক্তিকে কেউ অপহরণ বা গুম করেনী বরং সে তার সদ্য বিবাহীত স্ক্রীকে পছন্দ না হওয়ায় ভিকটিম নিজে থেকেই আত্নগোপনে চলে যায় ।
এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে প্রতিপক্ষের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ থাকায় তাদেরকে আসামী করে মামলা করেন । এ ঘটনায় পুলিশের চুরান্ত প্রতিবেদনে আসামীদের কোন সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় তাদেরকে মামলা থেকে অব্যাহতী দেওয়া হয় । এবং যেহেতু মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রতিপক্ষকে ফাসানোর অভিযোগে ঐ মামলার বাদী গাজী হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ২১১ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন ।
সেই মামলায় গতকাল ১৭ এপ্রিল হাজিরা দিতে আসলে বিজ্ঞ বিচারক তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন । এ বিষয় ভুক্তভোগীরা বলেন গাজী হাবিবুর রহমানের পরিবারের সাথে তাদের জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিলো । আর সে কারণেই মূলত মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রাণী করার চেস্টা করে। এদিকে হাবিব গাজীর বিরদ্ধে এলাকায় ব্যাপক হয়রানীর অভিযোগ রয়েছে , এ ছারাও গত ২০১৮ সালে পটুয়াখালী সদর থানার ভিতরে একটি শালিস বৈঠকে একজন এস আইকে মারধর করার অভিযোগ রয়েছে ।
https://www.youtube.com/watch?v=wN-ISORYsDU
এদিকে মামলার বাদী জেলে যাওয়ায় এলাকায় খুশির বন্যা বইছে, এলাকাবাসী এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচারের দাবী জানান এবং ভবিষ্যতে এমন ঘনার পূণরাবিত্তি না ঘটে সে বিষয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।