দশমিনায় দিনের চেয়ে রাতে মার্কেটে ক্রেতার ভিড় দেখা যাচ্ছে বেশি। বিশেষ করে সন্ধা ৭ টা থেকে রাত ১২ টা পর্যন্তু চলছে বেচাকেনা।
ক্রেতারা বলছে, দিনের বেলায় কর্মক্ষেত্রে থাকা,ভ্যাপসা গরম এবং রমজানে ভিড় এড়াতে রাতে কেনাকাটা করতেই স্বাচ্ছন্দ্য তাদের।বিপনিবিতান গুলোর ভেতরে পোশাকের সমাহার আর বাইরে ঝলমলে রঙ্গিন বাতি যা নজর কারছে ক্রেতা সাধারনের। নানান পোশাকের নিত্য নতুন কালেকশন নিয়ে পসরা সাঝিয়েছে ফ্যাশন হাউজ গুলো। ফুট পাতেও বেচাকেনা চলছে বেশ। শনিবার সন্ধা থেকে দশমিনার বিভিন্ন গলিতে ঘুরে এ চিএ দেখা গেছে। জামা কিনতে আসা মোঃ ইমরান বলেন, পরিবার নিয়ে রাতে বের হয়েছি, গতো ৪ দিনের খড়তাপে ঘড়ে থাকাই কষ্টকর।
আরেক ক্রেতা বেল্লাল হোসেন বলেন এতোটাই গরম থাকে বাচ্চা ছেলে মেয়ে নিয়ে বের হওয়া সম্ভব না, তাই গছানী গ্রাম থেকে রাতে কেনা কাটা করতে আসছি, আলিপুরা ইউনিয়ন থেকে আসা মোঃ মিজানুর বলেন দিনে গরম বেশি, তাই সবাই এখন রাতে আসে বিপনিবিতানে। তাতে রাতে মার্কেটে যে গ্যাদারিং হয়, এক্ষেএে স্বাস্থ্য ঝুকি নিয়ে আমরা চিন্তিত।
পন্য মেলা কসমেটিক মালিক মোঃ লিওন ইসলাম বলেন কসমেটিকস বেচা কেনা এখনো বাড়েনি, সবাই জামা- কাপড় ও জুতা কেনাকাটা শেষ করে কসমেটিকস কিনবে, তার ওপর প্রচন্ড গরম। গরমে আশানুরূপ বেচাকেনা এখনো শুরু হয়নি, রুবেল কসমেটিকস এবং লাবনী কসমেটিকস এর মালিক একই কথা বলেন,তাদের আশানুরূপ বেচাকেনা এখনো শুরু হয়নি। তাপদাহ থাকায় মানুষ দিনে কম বের হয়, আর রাতে কাস্টমার থাকে ৪ থেকে ৫ ঘন্টা।
পাদুকা দোকানি লিটন বলেন বৃষ্টি হলে আবহাওয়া একটু ঠান্ডা থাকতো এতে করে দিনের বেলাও বেচা কেনা একটু ভালো হতো।’মা’গার্মেন্টস এর মালিক মোঃ বাবলু হোসেন বলেন গত দুইদিন বিক্রি বেড়েছে, তবে কাস্টমারদের একটা অংশ অনলাইনে শপিং করছেন, আমাদের দোকানে এসেও অনলাইনের মতো পন্য চাচ্ছেন।কসমেটিকস ব্যাবসায়ীরা জানান, ক্রেতারা আগে পোষাক ও পাদুকা কিনকে তারপরে কসমেটিকস। তাই পোষাক ও পাদুকার দোকানে কিছুটা ভিড় থাকলেও তাদের দোকানগুলোতে তুলনা মুলক বেচা বিক্রি কম।