নাটোরের বড়াইগ্রামে গুদাম থেকে ৩ হাজার লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করা হয়েছে। এ সময় ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান তানভীর জানান, বুধবার (১১ মে) রাতে বড়াইগ্রাম উপজেলার মৌখাড়া বাজার এলাকার বনপাড়ার মেয়রের মৌখাড়া বাজারের মের্সাস নয়ন ডির্পাটমেন্টাল স্টােরে এ অভিযান চালানো হয়।
জানা গেছে, অভিযান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান তানভীর অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময় অভিযানে মের্সাস নয়ন ডির্পাটমেন্টাল স্টোরের গুদামে ৩ হাজার লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করা হয়। এ সময় দোকানদারকে ১ লাখ টাকা জরিমানাা করা হয়। পরে জব্দ করা সয়াবিন তেল সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করা হয়।
বুধবার রাতে নাটোর শহরে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে নাটোর র্যাব ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফরহাদ হোসেন। এ সময় বাড়তি দামে বিক্রি ও অবৈধভাবে তেল মজুত রাখায় শহরের কুন্ডু সাহা স্টোর থেকে ১০ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ ও ৮ হাজার টাকা জরিমানা, সোনালী স্টোর থেকে ৮৫ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, মেসার্স লিটন স্টোর থেকে ৫৫ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, স্টেশন বাজারের নিউ বেঙ্গল ট্রেডার্সের গুদাম থেকে ২২০০ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
নয়ন ডির্পাটমেন্টাল স্টোর ও বনপাড়ার মেয়র মাজেদুল বারী নয়ন বলেন, তেল মজুতের বিষয়টি আমি জানতাম না। দোকানের ম্যানেজার সবুজ হোসেন এসব করেছে। মেয়র হওয়ার পর দোকানের দায়িত্ব ম্যানেজার সবুজ হোসেনকে দিয়েছি। কোনো খোঁজ-খবরও রাখতে পারি না। আমি ব্যবসা ছেড়ে দেবো।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নাটোরের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান তানভীর বলেন, সারা দেশে সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে। নাটোরে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত আছে। ছোট-বড় সব প্রতিষ্ঠানেই অভিযান চালানো হবে।