মালদ্বীপের ক্লাব মাজিয়া এফসিকে ১-০ গোলে হারিয়ে এবারের এএফসি কাপ মিশন শুরু করেছে বসুন্ধরা কিংস। বুধবার (১৮ মে) রাতে সল্টলেকে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে বসুন্ধরার পক্ষে একমাত্র গোলটি করেছেন গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড নুহা মারং। ম্যাচের শুরু থেকে আধিপত্য দেখানো বসুন্ধরা দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা রক্ষণাত্মক হয়ে পড়ে। শেষ অবধি এক গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন অস্কার ব্রুজন শিষ্যরা।
এই ম্যাচেই বাংলাদেশি হিসেবে প্রথমবার মাঠে নামেন এলিটা কিংসলে।
ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত বসুন্ধরা। বক্সের ভেতরে পাওয়া ক্রসে হেডও করেছিলেন নুহা। কিন্তু মাজিয়ার এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে বলের দিক বদলে যায়। এগিয়ে যাওয়া হয়নি কিংসের।
২৩তম মিনিটে ভালো সুযোগ পেয়েছিল মাজিয়াও। ডিফেন্স লাইন থেকে লম্বা বল বাড়ানো হয়েছিল হামজার কাছে। তিনি বলটা পেয়ে গিয়েছিলেন ফাঁকা জায়গায়। কিন্তু তার করা শটটি ঠেকিয়ে দেন বসুন্ধরা গোলরক্ষক জিকো। পরে আবার ফিরতি বল হামজার কাছে আসলেও অফসাইডে ছিলেন তিনি।
দুই মিনিট পরই দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিল বসুন্ধরা কিংস। মাজিয়া ডিফেন্ডারদের ভুল পাসে বল চলে গিয়েছিল নুহা মারংয়ের কাছে। কিন্তু বলটা শট নিয়ে গোলে পরিণত করতে পারেননি তিনি।
৩৪তম মিনিটে এসে গোলের দেখা পায় বুসন্ধরা কিংস। মাঝমাঠ থেকে বাড়ানো বল দুই ডিফেন্ডারের মাঝখানে পান নুহা। তার করা হেড গড়াতে গড়াতে জালে জড়ায়। এএফসি কাপে বসুন্ধরার হয়ে প্রথম গোল পান নুহা।
চার মিনিট বাদেই ম্যাচে সমতা টানার সুযোগ ছিল মাজিয়ার সামনে। কিন্তু দারুণ সেভ করে ওই যাত্রায় কর্নারের বিনিময়ে বাঁচান জিকু। সেখান থেকে নায়িজের হেড লক্ষ্যে থাকেনি। শেষ অবধি এক গোলে এগিয়ে থেকেই প্রথমার্ধ শেষ করে বসুন্ধরা।
বিরতি থেকে ফিরে নিজেদের কৌশলে কিছুটা বদল আনেন অস্কার ব্রুজন। সুযোগ পেয়ে বেশ কয়েকটি দারুণ আক্রমণও করে মাজিয়া। কিন্তু কখনো জিকু, কখনো বিশ্বনাথ বা খালেদ শাফি ত্রানকর্তা হন দলের।
ম্যাচের ৭০ মিনিটে এসে একসঙ্গে দুই পরিবর্তন আনেন বসুন্ধরা কোচ। ইব্রাহিম আহমেদের জায়গায় সুমন রেজা ও নুহা মারংকে উঠিয়ে মতিন মিয়াকে নামান তিনি। তারা নামার পর আবারও আক্রমণে উঠা শুরু করে বসুন্ধরা।
৭৭তম মিনিটে এসে দারুণ সুযোগও পেয়েছিল কাউন্টার অ্যাটাকে। সুমন রেজার কাছ থেকে বল পেয়ে দারুণ এক শট নিয়েছিলেন মিগেল দামাসেনা। কিন্তু বলটা দারুণভাবে ঠেকান মাজিয়া গোলরক্ষক কিরন কুমার।
হতাশ হতে হয় বসুন্ধরাকে। ম্যাচের বাকিটা সময়ে আর কোনো বিপদ ঘটেনি। তবে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তারিক কাজী ও সোহেল রানাকে। এক গোলের স্বস্তির জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বসুন্ধরা। আগামী শনিবার বাংলাদেশ সময় পাঁচটায় এটিকে মোহনবাগানের বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে তারা।