২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করা হবে আজ। ৬ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকার এই বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এবারের বিশাল ব্যয়ের আকাঙ্খার বিপরীতে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকছে ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। ফলে প্রায় আড়াই লক্ষ কোটি টাকার ঘাটতি থাকছে এবারের বাজেটেও।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যয় কমিয়ে এনে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলেই সফল হবে এই বাজেট।
একদিকে করোনা মহামারি অন্যদিকে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ। ফলাফল বিশ্বব্যাপী অস্বাভাবিকভাবে পণ্যমূল্য বৃদ্ধি। এমন প্রেক্ষাপটে দেশের বাজারেও অস্বস্তির সবচেয়ে বড় নাম এখন নিত্যপণ্যের বাড়তি দাম। তাই এবারের বাজেট ঘিরে সকলের চাওয়া নিয়ন্ত্রণে থাক মূল্যস্ফীতি।
বৃহস্পতিবার ২০২২-২৩ অর্থবছরের রাষ্ট্রের আয় ব্যয়ের যে খতিয়ান অর্থমন্ত্রী দেবেন সেখানে ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকছে ৬,৭৮,০৬৪ কোটি টাকা। ব্যয়ের বড় আকাঙ্খার বিপরীতে অবশ্য খুব বেশি আয় বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি নেই। রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ৪,৩৩,০০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে আদায় করতে হবে ৩,৭০,০০০ কোটি।
বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদনে অর্থমন্ত্রী প্রবৃদ্ধি করতে চান সাড়ে সাত শতাংশ। আর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের জায়গা নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রেখে মূল্যস্ফীতিকে আটকাতে চান ৫ দশমিক ৬ শতাংশে। বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দিতে হবে আসছে বাজেটে।
ব্যয় কমিয়ে আনার নানা প্রতিশ্রুতির পরও উন্নয়ন প্রকল্পে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২,৪৬,০০০ কোটি টাকা। আর ঘাটতি থাকছে ২,৪৫,০৬৪ কোটি টাকা। অবশ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বছর শেষে ঘাটতি আরোও বাড়তে পারে। এছাড়া ঘাটতি পূরণে বিদেশী ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে সাবধান হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
অবশ্য পরিকল্পনামন্ত্রী বলছেন, ব্যয় কমিয়ে আনতে চেষ্টা রয়েছে এবারের বাজেটে। তবে বিশেষ এই সময়ে মানুষকে স্বস্তি দিতে কি মুন্সীয়ানা করতে পারবেন অর্থমন্ত্রী দেশের মানুষ তাকিয়ে সেই দিকে।