দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে। প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট পরিমাণ কর দিলে বিদেশে থাকা অর্থ-সম্পদ নিয়ে কোনো প্রশ্ন করা হবে না। তিন ধরনের করহার ঘোষণার মাধ্যমে বাজেটে তা সুস্পষ্ট করেছেন অর্থমন্ত্রী।
বিদেশে থাকা অর্থ ও সম্পদ আয়কর রিটার্নে বিনা প্রশ্নে প্রদর্শনের সুযোগ দিতে এমন ছাড় দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
এ জন্য বিদেশের স্থাবর সম্পত্তি দেশে আনা না হলে ১৫ শতাংশ ও অস্থাবর সম্পত্তির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ এবং বাংলাদেশে পাঠানো নগদ অর্থের ওপর ৭ শতাংশ হারে কর দেওয়া হলে এনবিআরসহ আর কেউ এসব সম্পদ বা অর্থের বিষয়ে প্রশ্ন তুলবে না। ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে তিনি এ জন্য আয়কর অধ্যাদেশে নতুন বিধান সংযোজনের প্রস্তাব করেছেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘প্রস্তাবিত বিধান অনুযায়ী বিদেশে অবস্থিত যে কোনো সম্পদের ওপর কর পরিশোধ করা হলে আয়কর কর্তৃপক্ষসহ যে কোনো কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করবে না। বিদেশে অর্জিত অর্থ ও সম্পদকে অর্থনীতির মূল স্রোতে আনয়নের মাধ্যমে বিনিয়োগ ও আর্থিক প্রবাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমি আয়কর অধ্যাদেশে নতুন বিধান সংযোজনের প্রস্তাব করছি। ’ বর্তমান আইনে বাংলাদেশ থেকে টাকা পাঠিয়ে বিদেশে সম্পত্তি করার সুযোগ নেই।
বিনিয়োগ আর ব্যবসার জন্য লিয়াজোঁ অফিস খোলার জন্য পৃথক সুনির্দিষ্ট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অনুমোদন দিয়ে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ সুযোগ দেওয়া হলে বাংলাদেশি নাগরিকরা বিদেশে তাদের সম্পদের তথ্য আয়ের বিবরণীতে যুক্ত করার সুযোগ পাবেন। ওই অর্থের উৎস নিয়ে তাদের কোনো প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে না।