রাজশাহীতে প্রেমের সম্পর্কে দেখা করতে এসে হত্যা শিকার হয়েছেন নওগাঁর যুবক রশিদুল। বিয়ের দাবিতে চাপ দিয়েও রাজি করাতে না পেরে প্রেমিক রশিদুলকে হত্যা করেন প্রেমিকা মেরিনা। পরে বান্ধবীকে নিয়ে সেই লাশ গুম করার চেষ্টা করেন। ঘটনার মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ এ হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে। এছাড়া ঘটনায় জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
উপ-পুলিশ কমিশনার (কাশিয়াডাঙ্গা) বিভূতি ভুষণ বানার্জী জানান, নওগাঁর নিয়ামতপুর থানার রশিদুল মন্ডল পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। মাঝে মাঝে ধান কাটাসহ অন্যান্য কাজের জন্য রাজশাহীতে আসতেন। সেই সুবাদে এক বছর আগে পরিচয় হয় মেরিনা খাতুনের। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মেরিনা খাতুন সায়েরগাছার বুলবুল আহম্মেদের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করতেন।
মঙ্গলবার রাতে রশিদুল সায়েরগাছার বুলবুলের বাড়িতে মেরিনার সঙ্গে দেখা করতে যান। সেখানে মেরিনা কথা-বার্তার একপর্যায়ে রশিদুলকে বিয়ের কথা বলে। রশিদুল পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পরে জানাবে বলে জানায়। কিন্তু মেরিনা রাতেই বিয়ের জন্য চাপ দেয়। রাত ১১টার দিকে রশিদুল সেখান থেকে চলে যেতে চাইলে মেরিনা তাকে বাধা দেন। দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। একপর্যায়ে মেরিনা ধাক্কা দিয়ে রশিদুলকে ফেলে দেন। পরে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করেন। বাড়ির লোকজন ঘুম থেকে ওঠার আগেই সকাল ৭টায় বান্ধবী নেশা খাতুনকে ডেকে নিয়ে মরদেহ বাড়ির ছাদের স্টোর রুমে তালাবদ্ধ করে রাখেন।
কাশিয়াডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ জানান, রশিদুল নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্তে নামে। বুধবার সকাল ১০টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে নগরীর সায়েরগাছার বুলবুল আহম্মেদের বাড়ি থেকে মেরিনাকে আটক করা হয়। তার দেওয়া তথ্য মতে, বাড়ির ছাদের স্টোর রুম থেকে রশিদুলের মরদেহ উদ্ধার হয়। এছাড়া লাশ গুমে সহযোগিতা করা মেরিনার বান্ধবী নেশা খাতুনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মরদেহের ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।