আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতাদের নিয়ে ফেইসবুকে ‘মানহানিকর’ পোস্ট দেওয়ায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জয়পুরহাট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। খাজা আল-আমিন সোহাগ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ খাজা সামছুল আলমের ছেলে।
শুক্রবার (১৭ জুন) বিকেলে শহরের পূর্ববাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর জাহান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতার খাজা আল-আমিন সোহাগ নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনসহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ একাধিক ব্যক্তির নামে ‘অশালীন, ভিত্তিহীন, মানহানিকর, কুরুচিপূর্ণ’ বক্তব্য লেখে তা প্রচার করে আসছিলেন। এতে জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতার মানসম্মান ক্ষুণ্ন হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি তিনি জয়পুরহাট পৌরসভার প্যানেল মেয়র দেওয়ান ইকবাল হোসেন সাবুর বিরুদ্ধেও ফেসবুকে ‘অশালীন, ভিত্তিহীন, মানহানিকর, কুরুচিপূর্ণ’ বক্তব্য পোস্ট করেন।
এসব কারণে তার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার বিকেলে বাদী হয়ে জয়পুরহাট অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন প্যানেল মেয়র দেওয়ান ইকবাল হোসেন সাবু। এরপর বিচারক মামলাটির আবেদন আমলে নিয়ে এজাহার হিসেবে গণ্য করে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন।
জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর জাহান বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক উপ- সমাজসেবক বিষয়ক সম্পাদক খাজা আল-আমিন সোহাগকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পর তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।