পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পরদিন যান চলাচল শুরু হয়। আর ওইদিন রাতেই সেতুর ওপর মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হন দুই যুবক। প্রাথমিক কারণ হিসেবে বেপরোয়া গতিতে বাইক চালানোর কথা বলছিলেন সবাই। বাইক আরোহীদেরই মোবাইলে ধারণ করা ভিডিও ভাইরাল হয়ে পড়ে।
তবে বেপরোয়া গতি না কি অন্য কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছিল তা বোঝা যাচ্ছিল না।
সম্প্রতি আরেকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, সেতুর মাঝখানে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে থাকা তিনজন মানুষকে বাঁচাতে গিয়েই তারা দুর্ঘটনার মধ্যে পড়েন।
ভিডিওটিতে দেখা যায়, সেতুর ওপর ছুটে চলছে দুটি মোটরসাইকেল। দুর্ঘটনায় শিকার মোটরসাইকল ছাড়াও অপর মোটরসাইকলটির গতি বেশি ছিল। সামনেই বাম লেনে গাড়ি থামিয়ে ছবি তুলছিলেন তিনজন লোক। দ্রুত গতির মোটরসাইকেলটি কোনোরকমে তাদের পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। ওই তিন ব্যক্তি তখন রাস্তায় শুয়ে পড়েন। কিন্তু অপেক্ষাকৃত কম গতিতে থাকা দুর্ঘটনার শিকার মোটরসাইকেলটি ব্রেক করে নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং ডান লেন দিয়ে চলতে থাকা কাভার্ডভ্যানে ধাক্কা খায়।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, যারা ওই সময় সেখানে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছিলেন তাদের বাঁচাতে গিয়েই এ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান মোটরসাইকেল চালক ও অপর আরোহী। ওই তিন ব্যক্তিকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার দাবিও জানাচ্ছেন অনেকে।
প্রসঙ্গত, শনিবার (২৫ জুন) পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পরের দিন রোববার (২৬ জুন) যান চলাচল চালু করা করা হয়। রোববার (২৬ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২ যুবক নিহত হয়। সেতুর ২৭ ও ২৮ নম্বর পিলারের মাঝামাঝি এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, মো. আলমগীর হোসেন (২২) ও মো. ফজলু (২১)।
ওই দুর্ঘটনার জের ধরেই পদ্মা সেতুতে অনির্দিষ্টকালের জন্য মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়।