ঈদুল আজহা উপলক্ষে মা-বাবার সঙ্গে মুন্সিগঞ্জ থেকে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে নানাবাড়িতে বেড়াতে এসেছিল ছয় বছরের শিশু। গত বৃহস্পতিবার ওই এলাকায় ধর্ষণের শিকার হয় মেয়েটি। এ ঘটনায় মো. ইমাম হোসেন (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১০। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি শিশুটিকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন।
রোববার (১৭ জুলাই) র্যাব-১০–এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গতকাল শনিবার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে ইমামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
র্যাব-১০ সূত্রে জানা যায়, মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানাধীন সংসাবাজ এলাকার আবু সাইদ হোসেন (৩৫) নামক একজন ব্যক্তি গত ৯ জুলাই ঈদ উপলক্ষে তার স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন খেঁজুরবাগ এলাকায় বেড়াতে আসেন। তার এক নিকটাত্মীয়ের বাসা শ্বশুরবাড়ির পাশাপাশি থাকায় সে তার স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে প্রায়ই সেখানে যাওয়া-আসা করতেন।
গত ১৪ জুলাই আনুমানিক দুপুর ১২টার দিকে তার মেয়ে ভিকটিম (৬) সেই আত্মীয়ের বাসা থেকে নানাবাড়ি ফেরার উদ্দেশে রওনা হয়। মেয়ে বাসায় ফিরে না আসায় আবু সাইদ তার আত্মীয়কে ফোন করলে জানতে পারেন মেয়ে অনেক আগেই চলে এসেছে। একথা শুনে তারা আশপাশের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে আনুমানিক বিকাল ৪টার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন খেঁজুরবাগস্থ সাহেব গলি মার্কেটের পাশে অসুস্থ অবস্থায় ভিকটিমকে পাওয়া যায়।
পরে ভিকটিম তার মাকে জানায়, সে তার আত্মীয়ের বাসা থেকে নানাবাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন খেঁজুরবাগস্থ সাহেব গলি এলাকায় পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা একজন ব্যক্তি তাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে।
ভিকটিমের বাবা আবু সাইদ হোসেন তার মেয়েকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং বর্তমানে সে উক্ত হাসপাতালের ওসিসিতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পরে আবু সাইদ তার আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে পরামর্শ করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির নামে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
উক্ত ঘটনার সংবাদ পেয়ে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে শিশু ধর্ষণ মামলার অজ্ঞাতনামা আসামিকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। এরপর ১৬ জুলাই দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন খালপাড় বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত শিশু ধর্ষণ মামলার অভিযুক্ত আসামি মো. ইমাম হোসেন (৩৫)কে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।