চট্টগ্রামের মিরসরাই খৈয়ারছড়ায় ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত তাসফির হাসানও চলে গেলেন না ফেরার দেশে। শনিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেন চমেক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এস এম নোমান খালেদ চৌধুরী।
এ নিয়ে নিহত বেড়ে ১৩ জনে দাঁড়াল। অধ্যাপক ডা. এস এম নোমান খালেদ চৌধুরী বলেন, শনিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাসফির মারা যান।
দুর্ঘটনার পর থেকে তার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন ছিল।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন একেএমবির অফিস সমন্বয়ক মো. আবদুল্লাহ বলেন, তাসফিরের মরদেহ গোসল ও দাফন-কাফন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ১০ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করেছেন। মিরসরাইয়ের দুর্ঘটনায় নিহত ১১ জন এবং শুক্রবার মারা যাওয়া আয়াতের মরদেহ গোসল ও দাফন-কাফনও এই টিম সম্পন্ন করে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই সকালে হাটহাজারী উপজেলার খন্দকিয়া গ্রামের আরএনজে কোচিং সেন্টার থেকে মিরসরাই খৈয়ারছড়া ঝর্ণায় বেড়াতে যান ১৮ জনের একটি দল। দুপুরে ফেরার পথে খৈয়ারছড়া এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় নিহত হন ১১ জন এবং আহত হন সাতজন। নিহতদের মধ্যে গাড়িচালক ছাড়া বাকিরা কোচিং সেন্টারের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী। দুর্ঘটনার পর আহত সাতজনকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন শনিবার তাসফির হাসান এবং গত সোমবার আয়াত ইসলামকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে আয়াত গত শুক্রবার দুপুরে মারা যান। বর্তমানে চারজন নিউরো সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন। একজনকে ডিসচার্জ দেওয়া হয়েছে।