আত্মীয়ের বাসায় এক অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার পথে কক্সবাজারের এক স্কুলশিক্ষিকা দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের একটি ভবনে দলবদ্ধ ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটলেও থানায় মামলা হয়েছে গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১২টায়।
মামলায় উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের ছনখোলা গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে বেদার মিয়াকে (২৮) প্রধান আসামি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অজ্ঞাতনামা আরও তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সেলিম উদ্দি্র বলেন, আজ মঙ্গলবার সকালে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ওই শিক্ষিকার স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে আসতে সময় লাগবে। দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ অজ্ঞাতনামা তিনজনকে শনাক্তে এবং প্রধান আসামি বেদার মিয়াকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ১৮ আগস্ট রাতে ভুক্তভোগী শিক্ষিকা পিএমখালীর মালিপাড়ায় তাঁর ভাগনির মেহেদী অনুষ্ঠানে যান। সেখানে বেদার মিয়ার সঙ্গে পরিচয় হয়। পরদিন ১৯ আগস্ট সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে (টমটম) বাড়ি ফিরছিলেন ওই শিক্ষিকা। ঝিলংজা ইউনিয়নের বাংলাবাজার ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে বেদার মিয়া ও তাঁর তিন সহযোগী ইজিবাইকের গতি রোধ করেন এবং দেশি অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে পিএমখালীর চাঁন্দের পাড়ার আল বয়ান ইনস্টিটিউটের সামনে নির্মাণাধীন একটি ভবনে নিয়ে যান তাঁকে। সেখানে তিনজন তাঁকে ধর্ষণ করেন। একজন ধর্ষণে সহায়তা করেন। একপর্যায়ে ওই শিক্ষিকাকে সেখানে ফেলে রেখে চারজন পালিয়ে যান।
গতকাল রাতে মামলা নিয়েছে কক্সবাজার সদর মডেল থানা-পুলিশ।