বাগেরহাটের শরণখোলায় পুকুরে ডুবে রুবি আক্তার (৭) ও রাফিয়া আক্তার (৪) নামে দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের পুকুর থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের মধ্য নলবুনিয়া গ্রামে মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটে। নিহত দুই শিশু ভ্যানচালক আব্দুর রহিম তালুকদারের মেয়ে।
মরদেহ পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
নিহতদের বাবা রহিম তালুকদার জানান, দুই মেয়েকে মায়ের কাছে রেখে তিনি জুমার নামাজ পড়তে যান। নামাজ পড়ে বাড়ি ফিরে মেয়েদের দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। প্রথমে নিজের বাড়ির আশপাশ তল্লাশি করে কোথাও না পেয়ে প্রতিবেশী নওয়াব চৌধুরীর বাড়ির পুকুরে তল্লাশি চালান। সেই পুকুর তল্লাশি করে দুই মেয়েকে খুঁজে পান। সেখান থেকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরো জানান, তিনি ঢাকার একটি পোষাক কারখানায় কাজ করতেন। স্ত্রী কোহিনুর বেগম ও দুই মেয়েকে নিয়ে ঢাকার কোনাবাড়ি এলাকায় বসবাস করতেন। সেই কাজ ছেড়ে দিয়ে ছয় মাস আগে স্বপরিবারে স্থায়ীভাবে বাড়িতে চলে আসেন। বাড়িতে এসে ব্যাটারিচালিত ভ্যান চালিয়ে জীবীকা নির্বাহ করেন। তার মেয়েরা সাঁতার জানে না। দুই বোন একসাথে পাশের বাড়ির পুকুরে গোসল করতে গিয়ে ডুবে যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আলমগীর তালুকদার জানান, সাঁতার না জানার কারণে পাশের বাড়ির পুকুরে গোসল করেত গিয়ে এই মর্মান্তিক ঘটনার শিকার হয় তারা।
শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. নিয়াজ মাহমুদ ফয়সাল জানান, পানিতে ডোবা দুই শিশুকে মৃত অবস্থায়ই দুপুর আড়াইটার দিকে হাসপাতালে নিয়ে আসে স্বজনরা।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকরাম হোসেন জানান, হাসপাতাল থেকে লাশ দুটি পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দুই বোনের মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে খোঁজখবর নেওয়া হয়। এ ঘটনায় দুটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।