দিনাজপুরের পাইকারি বাজারে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি কাঁচা মরিচের দাম কমেছে প্রায় ৫০ টাকা। বর্তমানে প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৮০ টাকায়।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশি কাঁচা মরিচের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম কমতে শুরু করেছে।
ফলে ভারত থেকে আমদানি বন্ধ করেছেন বন্দরের ব্যবসায়ীরা।
এ দিকে কাঁচা মরিচের দাম কমায় খুশি সাধারণ মানুষ। কাঁচা মরিচ ক্রেতা মজিদ বলেন, ‘কিছুদিন আগেও ২০০ টাকা কেজি দরে মরিচ কিনতে হয়েছে। সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে মরিচের। বর্তমানে পেঁয়াজের দামও কমেছে। বাজারে প্রায় সব নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এ অবস্থায় কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজের দাম কমায় কিছুটা স্বস্তি এসেছে। সরকার যদি তেল, চিনি, চাল, আটাসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম কম থাকলে আমাদের গরীব মানুষগুলোর জন্য সুবিধা হতো। ’
হিলি বাজারের কাঁচামরিচ বিক্রেতা বলেন, ‘আবহাওয়া ভালো থাকায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মরিচের উৎপাদন বেশ ভালো হয়েছে। এতে বাজারে সরবরাহ বেড়েছে। এ কারণে দাম কমেছে। কম দামে কিনে কম দামে বিক্রি করছি। বর্তমানে হিলি বাজারে দেশি কাঁচামরিচ রয়েছে। কারণ ভারতীয় কাঁচা মরিচের দাম বেশি। ’
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর রশিদ বলেন, দেশের বাজারে মরিচের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বন্দর দিয়ে মরিচ আমদানি হচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে দেশীয় মরিচের সরবরাহ বাড়েছে। ফলে দামও কমেছে। তাই ভারত থেকে আর কাঁচামরিচ আমদানি করা হচ্ছে না। ’