নাটোরে সহপাঠীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় চারজনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার নাটরের একটি আদালত এই রায় দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আদালত ধর্ষণ মামলার রায় ঘোষণা করেন। এ সময় চার আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রায়ে আসামিদের ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত বেঞ্চ সহকারী আব্দুস সোবহান কারাদণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এই মামলার অপরাধ সংঘটনের সময় অভিযুক্তরা অপ্রাপ্তবয়স্ক ছিল। তাই তাদের শিশু আইনে বিচার করা হয়েছে। তবে বর্তমানে তারা প্রাপ্তবয়স্ক।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তোভোগী ওই শিক্ষার্থীর পরিবার নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় বসবাস করত। ২০১৭ সালের ১২ জুলাই ওই ভুক্তোভোগী শিক্ষার্থীকে নেশা জাতীয় পানীয় পান করানো হয়ে। পরে তাকে অপহরণ করে অজ্ঞাত এক বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মামলার চার আসামি তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ঘটনা তাদের সঙ্গে থাকা এক বান্ধবী মোবাইল ফোনে ধারণ করে। এ ঘটনার পর ওই ভুক্তোভোগী শিক্ষার্থীকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। পরবর্তীতে ওই ভুক্তভোগীর মা বাদি হয়ে বাগাতিপাড়া থানায় চারজনকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা করেন।
তদন্ত শেষে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) স্বপন কুমার চৌধুরী অভিযুক্তদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেন। এ ঘটনায় বাদি ওই তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত বাদীর নারাজি আবেদন আমলে নেয়। আদালতে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বুধবার আসামিদের শিশু আইনে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বাদী পক্ষের আইনজীবী মুক্তার হোসেন জানান, পুলিশের ত্রুটিপূর্ণ তদন্তের কারণে বাদি ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হতে বসেছিলেন। পরবর্তীতে নারাজির আবেদন করা হয়। আদালত এ অভিযোগের সত্যতা পেয়ে আসামিদের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
রাষ্ট্র পক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি (এসপিপি) আনিছুর রহমান বলেন, শিশু আইনে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছর কারাদণ্ড। আদালত সর্বোচ্চ সাজা দেওয়ায় বাদী সন্তুষ্ট।
তবে আসামিদের আইনজীবী লোকমান হোসেন জানান, এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।