ঘরে ঘরে দেবীদুর্গার আগমনী বার্তা। সারাদেশে তাই প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পীরা। আগামী ১ অক্টোবর ৫ দিনব্যাপী ষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।
যশোরের ৮ উপজেলায় ৭১৩টি মণ্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ।
ইতোমধ্যে শিল্পীরা মণ্ডপগুলোতে প্রতিমা তৈরির কাজ অনেকখানি এগিয়ে নিয়েছেন। যশোর পৌরসভা এলাকায় ৪৬টি মণ্ডপসহ সদর উপজেলায় মোট ১৫০টি মণ্ডপে, অভয়নগরে ১৩০টি মণ্ডপে, মনিরামপুরে ১০৫টি মণ্ডপে, কেশবপুরে ৯৬টি মণ্ডপে, বাঘারপাড়ায় ৯৭টি মণ্ডপে, চৌগাছায় ৪৯টি মণ্ডপে, ঝিকরগাছায় ৫৭টি মণ্ডপে এবং শার্শায় ২৯টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে চাটমোহরের প্রতিমা শিল্পীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রতিমার কাঠামো তৈরি, এর পর কাঠামোতে মাটিসহ অন্যান্য উপকরণ লাগানোর কাজ এখন পুরোদমে চলছে। তাই যেন দম ফেলার মতো সময় নেই তাদের।
ফরিদপুর শহরে বেশিরভাগ মন্দিরেই প্রতিমার মাটির কাজ অনেকটা শেষ হয়ে গেছে। অনেক স্থানে অস্থায়ীভাবে পূজার ঘর তৈরি হয়ে গেছে। পূজার যে কদিন বাকি রয়েছে সেই কদিন পালদের অত্যন্ত ব্যস্ততম পার করতে হচ্ছে।
বরিশালের কারিগরদেরও নিঃশ্বাস ফেলার জো নেই। প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত তারাও। মূর্তির মূল কাঠামো তৈরি করা হয়েছে শ্রাবণ মাসের শুরু থেকেই। এখন চলছে মাটির প্রলেপের কাজ। সময় যত ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে মৃৎ শিল্পীদের ব্যস্ততা।
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার ১৮টি মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে দুর্গাপূজা। উপজেলায় ১৮টি মণ্ডপে জন্য প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন খানসামার প্রতিমা শিল্পীরা। তবে দ্রব্যমূল্যের সাথে তাল মিলিয়ে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে রং, তুলি ও সাজসজ্জার দাম বেশি হওয়ায় এবং প্রতিমা তৈরির মজুরি কম পাওয়ায় কিছুটা অসন্তোষ রয়েছে শিল্পীদের।
এদিকে সাভারের ধামরাইয়ে প্রায় দুই শত পূজা মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন করা হবে। এর মধ্যে ধামরাই পৌরসভায় চল্লিশটির বেশি পূজা মণ্ডপে শারদীয় দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।