মাদারীপুরে এক শিক্ষার্থীকে আসাবিক হোটেলে নিয়ে নেশাদ্রব্য খাইয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সজীব সরদার (২৩) নামে অভিযুক্ত ওই যুবকের সঙ্গে ভুক্তভোগীর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। ধর্ষণের পর মেয়েটিকে হাসপাতালে রেখে পালিয় যায় সজীব।
হাসপাতাল, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের স্বনির্ভর গ্রামের আশরাফ আলি সরদারের ছেলে সজীব সরদারের (২৩) সঙ্গে ভুক্তভোগী মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
এই সম্পর্কের সূত্র ধরেই কলেজছাত্র সজীব গত রোববার কৌশলে তার প্রেমিকাকে মাদারীপুর শহরের পুরান বাজার এলাকায় একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে যায়। পরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নেশাদ্রব্য খাইয়ে অচেতন করে ধর্ষণ করে। একপর্যায় ওই তরুণী অসুস্থ্যবোধ করলে রাত ১০টার দিকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে সে।
তরুণীর পরিবারের নাম ঠিকানা হাসপাতালের রেজিস্ট্রার খাতায় ভুল লিখে ভর্তি করে পালিয়ে যায় ওই যুবক। ঘটনাটি জানাজানি হলে রাতেই ভুক্তভোগীর পরিবার ও সদর থানা পুলিশ হাসপাতালে ছুটে আসেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, গত রমজানের কিছুদিন আগে এক আত্মীয়র বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে কলেজছাত্র সজীবের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। সেখান থেকে শুরু প্রেমের সম্পর্ক। প্রায় এক বছর ধরে ওই যুবকের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। সজীব কৌশলে পুরান বাজারের একটি হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে একটি বোতলে পানি খেতে দেয়। খাওয়ার কিছু সময় পরেই অচেতন হয়ে যাই আমি। ওই ছেলে অচেতন করে আমার ক্ষতি করেছে। সে যদি বিয়ে করে আমার কোনো আপত্তি নেই। আর বিয়ে না করলে ঘটনার কঠোর শাস্তি দাবি জানাই। ’
স্কুল শিক্ষার্থী দুলাভাই বলেন, ‘আমার শ্যালিকার সঙ্গে খারাপ কিছু করা হয়েছে। সে যদি আমার শ্যালিকাকে মেনে নেয় তাহলে তো ভালো। আর যদি সে না মেনে নেয়, তাহলে আমরা সরকার ও প্রশাসনের কাছে কঠোর শাস্তির দাবি জানাই। ’
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াদ মাহমুদ বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে ধর্ষণের বিষয়টি জানার পরে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। পরীক্ষার রিপোর্ট পেলে স্পষ্টভাবে বলা যাবে সে ধর্ষণের শিকার হয়েছে কিনা। ’
এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘ঘটনা জানার পরে সদর হাসপাতালে আমাদের পুলিশ গিয়ে খোঁজ-খবর নিয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে। ’