সুলতানা কামাল, মুনতাসির মামুনরা ক্ষমতাসীন সরকারের এজেন্ট হয়ে কাজ করছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামালরা মানবাধিকার কর্মী নয়, আওয়ামী লীগের অধিকার রক্ষার কর্মী। দেশের জনগণ তার বক্তব্যের ধিক্কার ও প্রতিবাদ জানায়। সরকার যাদেরকে খুন, গুম করেছে তাদের পরিবারের সদস্যরা যে অভিশাপ দিচ্ছেন তার ভুক্তভোগী হবেন সুলতানা কামালরা।
রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বুধবার (৫ অক্টোবর) তিনি এসব কথা বলেন।
ইন্ডিয়া টুডেতে সাক্ষাৎকার দেওয়া সুলতানা কামালের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রিজভী বলেন, ‘যখন ভোলায়, যশোর, মুন্সিগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জে বিএনপির যুবদলের কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে তখন আপনি (সুলতানা কামাল) কোথায় ছিলেন? আপনারা ওটার প্রতিবাদ করলেন না, আপনারা কিসের মানবাধিকার কর্মী। আপনারা আওয়ামী অধিকার কর্মী। আপনি আওয়ামী লীগের স্বার্থের যে অধিকার সেই অধিকারের কর্মী।
এ দেশের জনগণের যে অধিকার সেটা আপনার মধ্যে নেই, আপনার মাথার মধ্যে নেই। আপনি চান আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদ ক্ষমতায় থাকুক। আপনি চান আওয়ামী লীগ যেভাবে বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্যাতন করছে, গুম করেছে এটা চালু থাক। তাই নিজ দেশে না অন্য দেশে সাক্ষাৎকার দিয়ে শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে চান ‘
তিনি আরও বলেন, ‘আরেকজন বুদ্ধিজীবী মুনতাসির মামুন বলেছেন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে এদেশের অনেকেই দেশে থাকতে পারবে না। কেন থাকতে পারবে না? জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় ছিলেন আপনি চাকরি করেননি? বেগম জিয়ার ক্ষমতার সময়ে আপনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। আপনি কোথায় পালিয়ে গিয়েছিলেন? বরং আপনি দেশবিরোধী কাজ করেছেন। আপনি এবং আপনার বন্ধু শাহরিয়ার কবির বিদেশে গিয়ে দেশের বিরুদ্ধে কলঙ্ক রটিয়েছেন। ’
রিজভী বলেন, ‘সুলতানা কামালদের কোনো সাক্ষাৎকার ও মুনতাসির মামুনের কোনো বিবৃত্তি এদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষকে গণতন্ত্রকে বিচলিত করতে পারবে না বরং তারা আজ দালাল হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। তারা এদেশের সংস্কৃতি চায়না। তারা অন্য কোনো দেশের সংস্কৃতি এদেশের জনগণের মধ্যে ঢুকিয়ে দিতে চায়। আর এইজন্যে একজন খুনি সরকারের
পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। ’
শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।