গাজীপুরে পুলিশ ও বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৫৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা অনেককে এ মামলায় আসামি করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) সকালে পুলিশ বাদী হয়ে এ মামলা করে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানার (ওসি) জিয়াউল ইসলাম।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার জেলা বিএনপির একটি অনুষ্ঠান শেষে সড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। এসময় পুলিশ বাঁধা দিলে তারা পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা করেন। এতে পুলিশের ৪ সদস্য আহত হন। বর্তমানে তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে গাজীপুর সদর থানায় ৫৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, পুলিশ বাদী হয়ে সকালে একটি মামলা করেছে। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আদালতে পাঠানো প্রক্রিয়া চলছে।
উল্লেখ্য, সোমবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। পরে তারা কার্যালয় সামনে থেকে শোক শোভাযাত্রার বের করলে পুলিশ তাদের বাঁধা দেয়। এসময় তাদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। তখন পুলিশের লাঠি পেটায় ছত্রভঙ্গ হয়ে যান বিএনপি নেতা-কর্মীরা। পরে নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে আবারও মিছিল করতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়।
এসময় পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। বিএনপি কর্মীরাও ইটপাটকেল ছুঁড়েন। এতে পুলিশ ও বিএনপির প্রায় ২৫-৩০ জন নেতাকর্মী আহত হন।