পটুয়াখালীর গলাচিপায় নিখোঁজ মুন্না হাওলাদারকে ৬ মাস পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার নারায়ণগঞ্জ থেকে উদ্ধার করে গলাচিপা থানা পুলিশ। ভয়ে আত্মগোপনে ছিল মুন্না।
থানা সূত্রে জানা যায়, গলাচিপা সদর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া ৯নং ওয়ার্ডের রাঢ়ী বাড়ির বাদী মোসা. হাসিনা বেগমের ছেলে মুন্নাকে গত ১০ মে চুরির অপবাদে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন ও মারধর করে শিকলে বেঁধে রাখলে তা সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন পত্রিকা ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ায় প্রচার হয়। মুন্নাকে রাতে ঘরে নিয়ে গেলে মুন্না গভীর রাতের কোনো এক ফাঁকে বাড়ি থেকে পালিয়ে ঢাকায় চলে যায়।
মুন্নাকে না পেয়ে তখন মুন্নার মা বাদী হয়ে মো. হযরত আলী, তানিয়া বেগমসহ ৫ জনকে আসামি করে গলাচিপা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তখন ৩ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়। তারা আদালতের মাধ্যমে জামিন নিয়ে আসলেও মুন্নাকে তখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। মুন্না নিজ থেকেই ভয়ে আত্মগোপনে থাকে এতদিন।
১৯ অক্টোবর মুন্নাকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ থেকে গলাচিপা থানা পুলিশ উদ্ধার করে ২০ অক্টোবর গলাচিপা থানা হেফাজতে নিয়ে আসে। ২১ অক্টোবর সকালে মুন্নাকে আদালতের মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে গলাচিপা থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মুন্নাকে ঢাকার নারায়ণগঞ্জ থেকে উদ্ধার করেছি। আমরা মুন্নাকে আদালতের মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি।