নাটোরের গুরুদাসপুরে বিধবা নারী কুলসুমকে (৮০) গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে দুই যুবকের বিরুদ্ধে। গতকাল মঙ্গলবার আনুমানিক রাত ৮টার দিকে ঘটনাটি ঘটে উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের পমপাথুরিয়া গ্রামে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করে। নির্যাতনের শিকার বিধবা নারী ওই এলাকার মৃত সুরত আলীর স্ত্রী।
বিধবা নারী কুলসুম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার স্বামী অনেক দিন আগে মারা গেছে। আমার ৪ মেয়ে। সবগুলোর বিয়ে হয়েছে। মেঝো মেয়ে রফেলার বিয়ের পর থেকেই আমার বাসায় জামাই নিয়ে বসবাস করে। আমার ছোট মেয়ের বাচ্চা হওয়ার কারণে হাসপাতালে মেয়েরা দেখতে যায়। বাসায় আমি আর আমার জামাই ছিলাম। আমার হঠাৎ জ্বর আসছিলো। অসুস্থ্য হয়ে পরলে আমার জামাই আবুল কাশেম বাজারে গিয়ে ঔষুধ কিনে নিয়ে এসে আমার ঘরে প্রবেশ করে। তার কিছুক্ষণ পরে পমপাথুরিয়া গ্রামের আমার প্রতিবেশি আলমের ছেলে রতন ও বকুলের ছেলে উজ্জল হইচই করতে থাকে। প্রতিবেশিদের জড়ো করে আমার নামে অপবাদ দেয় যে আমি আমার জামাইয়ের সাথে আপত্তিকর অবস্থায় ছিলাম। এ কথা বলার পরেই তারা আমাকে টেনে হিঁচড়ে কাদা পানির মধ্যে দিয়ে নিয়ে যায়। তারপর একটি ডাব গাছের সাথে আমাকে রশি দিয়ে বেঁধে রাখে এবং মারধর করে’।
এদিকে অভিযুক্ত রতন আলী ও উজ্জল হোসেন দাবী করেন, দীর্ঘদিন যাবৎ তারা জামাই শাশুড়ি অবৈধ সম্পর্কের সাথে লিপ্ত রয়েছে। মঙ্গলবার রাতে তাদের জামাই শাশুড়িকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করা হয়েছে। তবে তাড়াহুড়া করে গাছে বেঁধে ফেলেছিলাম। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া ঠিক হয়নি।
এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল মতিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ওই নারী ও তার জামাইকে উদ্ধার করা হয়েছে। আইনী প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।