নোয়াখালীতে নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়েছে। এ সংক্রান্ত ৩ মাসের (জুলাই-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) নাগরিক প্রতিবেদন দাখিল করে প্রেস ব্রিফিং করেছে নোয়াখালী নারী অধিকার জোট। বিভিন্ন গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে গত ৩ মাসে জেলায় সংঘটিত ৩৯টি সহিংসতার ঘটনা তুলে ধরেন তারা। এর মধ্যে ২৬ জন নারী ও শিশু ধর্ষণের কথা তুলে ধরা হয়।
এছাড়াও রয়েছে প্রতিবন্ধী শিশু, বলৎকার ও নারী ধর্ষণের মতো ঘটনাও।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় নোয়াখালী প্রেসক্লাবে জেলা নারী অধিকার জোটের সভাপতি লায়লা পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় প্রেস ব্রিফিং। এ সময় তারা জেলায় সংঘটিত গত ৩ মাসের সহিংসতার চিত্র তুলে ধরেন এবং উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
ব্রিফিংয়ে তারা জানান, গত ৩ মাসে নোয়াখালীতে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ২৬ জন নারী, শিশু ও কিশোরী। সেনবাগের একটি মাদ্রাসায় ১০ জন শিশু বলৎকারের শিকার হয়েছেন। এছাড়াও ৩ জন কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষণ, ৭ জন নারীকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। এ সকল ঘটনায় মামলা হয়েছে ২৯টি, গ্রেপ্তার হয়েছে ১৯ জন। তারা এ সহিংসতার ঘটনার জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেন ও রাজনৈতিক জনপ্রতিনিধিদের দায়ী করেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, এনআরডিএস নির্বাহী পরিচালক আবদুল আউয়াল, এডভোকেট ফাহমিদা জেসমিন (পলি), মনোয়ারা মিনু, রৌশন আক্তার লাকী, সাজেদা আক্তার, সাংবাদিক আকবর হোসেন সোহাগ, আবু নাছের মঞ্জু, মিজানুর রহমানসহ প্রমুখ।
নোয়াখালীর ৯ উপজেলায় নারী নির্যাতন আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে নারী জোটের সভাপতি মন্তব্য করেন।
ব্রিফিংয়ে বক্তারা জেলায় সম্প্রতি ঘটে যাওয়া নারী নির্যাতনসহ সকল ধরনের সহিংসতার প্রতিবাদ জানিয়ে এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে নির্যাতিতার সুবিচার প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিতের দাবি জানান।