মেলবোর্নের মাঠে আজ ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি নাকি ভিন্ন কোনো ইতিহাস রচিত হবে, সেই অপেক্ষায় ক্রিকেট ভক্তরা। ১৯৯২ সালে এই মাঠেই বিশ্বকাপের ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিলেন ইমরান খান। বাবার আজম কি পারবেন? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েক ঘণ্টা। পাকিস্তান-ইংল্যান্ডের মধ্যে লড়াইটা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায়।
১৯৯২ ওয়ানডে বিশ্বকাপেও ফাইনালে একই মাঠে মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড ও পাকিস্তান। বাবরের তখন জন্মও হয়নি। ইমরানের ওই দলের সঙ্গে এবার বাবরের দলের বিশ্বকাপ অভিযানের এতটা অবিশ্বাস্য মিল যে, চারপাশে কথার জোয়ার, ‘মিরাকল অব নাইন্টি টু’ ফিরছে।
ইমরানের দলের ওপেনার রমিজ রাজা এখন বোর্ডের চেয়ারম্যান। ফাইনালের আগে দলের সঙ্গে দেখা করে সেই সাফল্যের গল্প শুনিয়ে দলকে প্রেরণা জুগিয়েছেন তিনি। গত কয়েক ম্যাচের দারুণ পারফরম্যান্সে অবশ্য দল এমনিতেও উজ্জীবিত। অধিনায়ক বাবর আজমের কণ্ঠে সেই বিশ্বাসেরই প্রতিধ্বনি। তিনি বলেন, ‘রোমাঞ্চ আছে। নার্ভাস খুব একটা নই। গত ৩-৪ ম্যাচে দল হিসেবে আমরা ভালো করেছি। সেই বিশ্বাস আমাদের সঙ্গী। ভালো করার বিশ্বাস আছে এবং ফাইনালেও তাই করতে চাই। চাপ তো আছেই। চাপ থাকবেই। তবে চাপ যতটা কাটিয়ে উঠতে পারব, পারফর্ম করার সম্ভাবনা ততই বাড়বে। দল হিসেবে এবং অধিনায়ক হিসেবে চাওয়া থাকবে শান্ত থাকা এবং বিশ্বাস রাখা। তাতে ফলাফল ভালো হবে আশা করি। ’
তবে ১৯৯২ ইতিহাস বদলে দিতে চান জস বাটলার। সেমিফাইনালে ভারতের মতো দলকে ১০ ইউকেটে বিধ্বস্ত করেছে। কিছুদিন আগে পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে পরাজিত করেছে। তাই বেশ আত্মবিশ্বাসী বাটলার। তিনি বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবেই দলে রোমাঞ্চের অভাব নেই। দেশের হয়ে বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলতে পারা মানে বিরাট সম্মান। খুবই রোমাঞ্চিত আমরা, দলে দারুণ একটি আবহ বিরাজ করছে। আগের পারফরম্যান্সগুলো আমাদেরকে বিশ্বাস জোগাচ্ছে অবশ্যই। তবে কালকে এসব কিছুই কাজে লাগবে না। নতুন দিন, কঠিন প্রতিপক্ষের সঙ্গে নতুন খেলা। এটা তো জানা কথা, ট্রফির জন্য লড়াই কখনোই সহজ নয়। ’