বাগেরহাট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম তানু ভুঁইয়াকে গুলি করে হত্যার ২২ ঘণ্টার মধ্যে প্রধান অভিযুক্ত স্থানীয় যুবলীগের নেতা ও পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ফরিদ শেখসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময়ে ঘাতকদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত এক রাউন্ড গুলি ভর্তি একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়।
শনিবার (১২ নভেম্বর) গভীর রাতে বাগেরহাট পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার বালিডাঙ্গা গ্রামে ফরিদ শেখের ফুফুর বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। শুক্রবার (১১ নভেম্বর) রাতে বাগেরহাট শহরের বাসাবাটি এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের এ নেতা।
এরপর তার স্ত্রী বাদী হয়ে শনিবার (১২ নভেম্বর) রাতে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি হাসিবুল হাসান শিপন মিনাকে হুকুমের আসামি করে ১৭ জনের নামে মামলা দায়ের করেন।
এদিকে বাগেরহাট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম তানু ভুঁইয়া হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে জেলা বিএনপি চার দিনের ঘোষিত কর্মসূচি চলাকালে রোববার সকালে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালামের নেতৃত্বে দলীয় নেতাকর্মীরা কালো ব্যাচ ধারণ করে শহরের পুরাতন বাজার মোড়ে বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে সমাবেশ শুরু করলে পুলিশের বাধায় তা পণ্ড হয়ে যায়।
পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন, প্রধান ঘাতক ফরিদ শেখ (২৮) মনির (২৬), রাতুল (২৭), সিরাজুল (২৭), আল আমিন (৩০), সুমন ((২৬), সোহাগ (২৫), মুকুল শেখ (৫৩) ও কবির (৫০)। এদের মধ্যে সোহাগ ছাড়া সবার বাড়ি বাগেরহাট শহরের বাসাবাটি এলাকায়। সোহাগের বাড়ি বাগেরহাট শহরতলীর কাড়াপাড়া এলাকায়।
গ্রেপ্তারকৃত এই ৯ জনের মধ্যে কবির ছাড়া সবাই হত্যা মামলার এজহারভুক্ত আসামি। তাদের নামে হত্যা, মাদক ও অস্ত্রআইনে একাধিক মামলা রয়েছে। অন্যদিকে নিহত তানু ভুঁইয়ার নামেও মাদক, বিস্ফোরকসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক রোববার দুপুরে জেলা পুলিশ অফিসে প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য জানান। পুলিশ সুপার আরও বলেন, শুক্রবার (১১ নভেম্বর) রাতে বাগেরহাট শহরের বাসাবাটি এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম তানু ভুঁইয়া নিহত হয়। এ ঘটনার পর ঘাতকদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম জেলা ও জেলার বাইরে অভিযান শুরু করে।