জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে এক ধাপ এগিয়ে সারাদেশে চট্টগ্রামের অবস্থান এখন দ্বিতীয়। জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলা থেকে বিদেশ পাড়ি দিয়েছেন ৫৮ হাজারেরও বেশি মানুষ। জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো আশা করে, বছর শেষে এই সংখ্যা লাখ পেরোবে। নিরাপদ অভিবাসনের কারণে শ্রমিক রপ্তানি বাড়ছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
বিদেশ গমনেচ্ছুদের আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা গেলে রেমিট্যান্স আরও বাড়বে বলেও প্রত্যাশা তাদের।
বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর গড়ে প্রায় ছয় থেকে সাত লাখ মানুষ চাকরির খোঁজে পাড়ি জমান বিদেশে। তবে করোনার কারণে এই সংখ্যা নেমে এসেছিল ২ লাখ ১৭ হাজারে। তবে কাজের খোঁজে বিদেশযাত্রায় গতি ফিরেছে আবারও। চলতি বছর চট্টগ্রাম বন্দর নগর থেকে ৫৮ হাজারেরও বেশি মানুষ কর্মসূত্রে বিদেশে গেছেন।
এ বছর চট্টগ্রাম থেকে বিদেশগামী শ্রমিকের সংখ্যা লাখের কোঠা পেরোবে বলেও আশা করেন চট্টগ্রাম জনশক্তি রপ্তানি ব্যুরোর উপপরিচালক জহিরুল আলম মজুমদার। করোনার পর শ্রমবাজারের দুয়ার খোলার পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে জনশক্তি রপ্তানির হার ঊর্ধ্বমুখী বলে জানান তিনি।
দীর্ঘদিন অপেক্ষা শেষে বিদেশ যেতে পেরে আনন্দ প্রকাশ করেন এখানকার বাসিন্দারা।
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সিকান্দার খান জানান, সরকারি বিভিন্ন উদ্যোগের কারণে শ্রমিক রপ্তানি বেড়েছে। শ্রমিকদের দক্ষ করে গড়ে তোলা গেলে রেমিটেন্স আরও বাড়বে।
জনশক্ষি রপ্তানি কমে যাওয়ায় গত কয়েক বছরে কমে যায় রেমিট্যান্স। সেই সংকট দ্রুতই কেটে যাবে বলে আশা করেন সংশ্লিষ্টরা।