ইউক্রেনে সম্প্রতি রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরিমাণ বেড়েছে। প্রায় প্রতিদিনই এ হামলা চলানো হচ্ছে। এর ফলে অনেকটা বিপর্যস্ত ইউক্রেন। সর্বশেষ বৃহস্পতিবারের (১৭ নভেম্বর) হামলায় প্রায় এক কোটি ইউক্রেনীয় নাগরিক বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন।
জেলেনস্কি বলেছেন, ‘নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জন্য আমাদের ১ কোটি নাগরিক বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। মারা গেছে অন্তত ৭ বেসামরিক। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার জন্য আমরা সবকিছু করছি। ’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অন্তত ছয়টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও পাঁচটি ড্রোন ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে। ’
বিবিসি বলছে, বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে নতুন করে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এসব ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মূল লক্ষ্যবস্তু ছিল জ্বালানি ও বিদ্যুৎ অবকাঠামো। এ ছাড়া আবাসিক ভবনগুলোতে হামলা চালানো হচ্ছে।
ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর জাপোরোঝিয়ার কাছের ভিলনিয়ানস্কে আবাসিক ভবনে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় সাতজন নিহত হয়েছেন। পূর্ব ইউক্রেনের একটি গ্যাস ক্ষেত্র ও দিনিপ্রোর একটি ক্ষেপণাস্ত্র কারখানায়ও হামলা চালানো হয়েছে।
বিবিসি বলছে, যারা বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ভুগছেন তারা প্রধানত রাজধানী কিয়েভের বাসিন্দা। এ ছাড়া পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর ভিনিসিয়া, দক্ষিণ-পশ্চিম ওডেসা বন্দর শহর এবং উত্তর-পূর্ব সুমির বাসিন্দারাও বিদ্যুৎহীন রয়েছে।
ইউক্রেনের অন্যতম বড় শহর দিনিপ্রো। বৃহস্পতিবারের নতুন রুশ হামলায় লক্ষ্যবস্তু ছিল এই শহরও। ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ড্যানিস শিমহাল বলেছেন, ‘পিভডেনমাশ কারখানা আক্রমণের শিকার হয়েছে। কারখানাটিতে ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করা হতো। ’
পরে আরেক ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা বলেন, দিনিপ্রো শহরের হামলায় এক কিশোরসহ ২৩ জন।
বিবিসি জানিয়েছে, জাপোরোঝিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমে ও নিকোপোল শহরের চারপাশে ৭০টি শেল পড়েছে। এতে করে হাজার হাজার বাড়ি বিদ্যুৎ ও পানি ছাড়া রয়েছে।
এ দিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জ্বালানি সংস্থা নাফটোগাজ জানিয়েছে, পূর্ব ইউক্রেনের তাদের গ্যাস ক্ষেত্রগুলো বিশাল হামলার শিকার হয়েছে। এতে করে গ্যাস উৎপাদন চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।