কুমিল্লা মহানগর বিএনপি অন্তঃকোন্দলে পুড়ছে। নগরীর শীর্ষ দুই নেতার কবজায় অঙ্গসংগঠনের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদ। মহানগরের সব কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন সাবেক মেয়র সাক্কুর অনুসারীরাও। এতে কুমিল্লা বিভাগীয় সমাবেশ সফল হওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বলছেন, কুমিল্লা মহানগর বিএনপি এখন সাংগঠনিকভাবে দুর্বল।
জানা যায়, প্রয়াত সাবেক নৌ মন্ত্রী আকবর হোসেনের মৃত্যুর পর থেকে দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়েছে কুমিল্লা বিএনপি। যেখানে এক পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু, আর আরেক পক্ষের নেতৃত্বে সাবেক সংসদ সদস্য আমিন উর রশিদ ইয়াছিন। আরেক ধারা তৈরি হয়েছে মনিরুল হক চৌধুরীকে ঘিরে। তাদের রেষারেষির কারণে সিটি করপোরেশন হওয়ার প্রায় ১০ বছর পর চলতি বছরের মে মাসে মহানগর বিএনপির কমিটি ঘোষণা হয়। যেখানে শীষ পদ থেকে বাদ পড়েন সাক্বুর অনুসারীরা।
আহ্বায়ক পদে ইয়াসিনের অনুসারী আমিরুজ্জামান এবং সদস্য সচিব পদে মনিরুল হক চৌধুরীর অনুসারী যুবদল সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা দায়িত্ব পান। কিন্তু নিজেদের বলয়ের নেতারা সদস্য সচিব পদে না আসায় পদত্যাগ করেন আমিরুজ্জামান। পরে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক দিয়ে দায়িত্ব চালানোর কয়েক মাস পর যুবদল সভাপতি উদবাতুল বারী আবুকে আহ্বায়ক বানিয়ে নতুন কমিটি করে বিএনপি। মহানগর দায়িত্ব পাওয়ার পরও যুবদলের দায়িত্ব ছাড়েননি তারা। এতে বিব্রত হন কুমিল্লা মহানগরের বিএনপির নেতাকর্মীরা।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, তিনি বিএনপির কুমিল্লা বিভাগের দায়িত্ব রয়েছেন। কথা হয় তার সঙ্গে। তিনিও দলের অস্থিরতার কথা জানান।
এছাড়া মহানগর বিএনপি ঘিরে এমন স্থবিরতা আসন্ন কুমিল্লা বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরে অস্থরিতা বাড়াচ্ছে বলে জানান কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজী আমিন উর রশীদ ইয়াসিন।
তবে কেন্দ্রীয় নেতারা আশা করছেন, সব পক্ষ দলের স্বার্থে সমাবেশকে গণ-সমাবেশে রূপ দেবে।