ঝিনাইদহের শৈলকূপায় দলিল লেখক ও সাব-রেজিস্ট্রার দ্বন্দ্বে দলিল সম্পাদনসহ অন্যান্য কার্যক্রমে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দলিল রেজিস্ট্রি, দলিল ফেরত, নকল সরবরাহসহ সব ধরনের কার্যক্রম গত ৪ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে।
জানা গেছে, গত ২২ নভেম্বর একটা কমিশনের দলিল রেজিস্ট্রি করার জন্য সাব-রেজিস্ট্রার ইয়াসমিন শিকদারের কাছে যান দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান মনির। সেসময় মনির অবৈধভাবে জমি রেজিস্ট্রির জন্য সাব-রেজিস্টারকে চাপ প্রয়োগ করেন।
তাতে রাজি হননি সাব-রেজিস্ট্রার। পরের দিন এজলাসে গিয়ে সাব-রেজিস্ট্রার ইয়াসমিনকে লাঞ্ছিত ও হুমকি-ধামকি প্রদান করে দলিল লেখক মনির। এ ঘটনায় জেলা রেজিস্ট্রার মো. আসাদুজ্জামান মৌখিকভাবে দলিল লেখক মনিরকে বহিস্কার করেন। পরবর্তীতে বহিস্কারের ঘটনাটি ভিন্নখাতে নেওয়ার জন্য তার অনুসারীদের নিয়ে কলম বিরতি শুরু করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দলিল লেখক জানান, এখানে যে সাব-রেজিষ্ট্রারই আসেন তাকেই মনিরের অনিয়ম দুর্নীতি মেনে চাকুরী করতে হয়। কেউ তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেই ভয়াবহ পরিণতির শিকার হতে হয়। এ ব্যাপারে আক্তারুজ্জামান মনির জানান, দলিল রেজিষ্ট্রির সময় নানা অজুহাতে সাব-রেজিষ্ট্রার ইয়াসমিন শিকদার অর্থ হাতিয়ে নেন এবং যথাসময়ে অফিসে আসেন না তিনি। আমরা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এ সম্পর্কে শৈলকূপা সাব-রেজিস্ট্রার ইয়াসমিন শিকদার জানান, কিছু দলিল লেখকরা আমার বিরুদ্ধে মনগড়া অভিযোগ তুলছেন। আমি সরকারি নিয়মের বাহিরে কোন দলিল রেজিস্ট্রি করি না।