বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ নেতা আনছার আলীসহ তার স্ত্রী মঞ্জু বেগম ও আওয়ামী লীগ কর্মী শুকুর শেখ হত্যার দায়ে দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়নের বহিস্কৃত ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ফকিরসহ ১৪জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একই সাথে তাদের ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রোববার (৪ ডিসেম্বর) খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নজরুল ইসলাম হাওলাদার এ রায় ঘোষণা করেন।
জানা যায়, আওয়ামী লীগের স্থানীয় রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়ন পরিষদের বহিস্কৃত চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম ফকির ও ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক আনছার আলীর মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়।
সেই বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ২০১৮ সালে ১ অক্টোবর দুপুর আড়াইটায় দিকে যুবলীগ নেতা শুকুর শেখকে সেলিমাবাদ ডিগ্রি কলেজ মাঠে গুলি করে ওই অবস্থায় তাকে ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে নিয়ে ফেলে রাখা হয়।
পরে বেলা সাড়ে তিনটার সময় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনছার আলীর বাড়িতে হামলা করে তাকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে আহত করা হয়। এসময় আনছার আলীর স্ত্রী মঞ্জু বেগমকেও মারপিট করা হয়।
নির্যাতনের ঘটনায় আনছার আলী ও শুকুর শেখ মারা যায় এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২২ মাস পর মঞ্জু বেগমও হাসপাতালে মারা যায়।
২০১৮ সালে নিহত শেখ শুকুরের ভাই শেখ ফারুক হোসেন বাদী হয়ে মোরেলগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। ২০১৯ সালের ৪ জুন পুলিশ ৫৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। জানা গেছে, চেয়ারম্যান ফকির শহিদুল ইসলামমের বিরুদ্ধে ২৩টি হত্যা মামলাসহ ৭১টি মামলা রয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।