বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত বিনা ধান চাষ করে সফল সুনামগঞ্জের চাষীরা। আমনের মৌসুমে এ জাতের ধান আবাদ করে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।
এবার দুটি জমিতে বীজ বোনা হয়েছিল একই সময়ে। একটিতে বিনা আর অপরটিতে অন্য ধানের বীজ।
বিনা জাতের ধানের শীষে এখনই লেগেছে সোনালী রঙ। পাকা ধানের মিষ্টি গন্ধে চনমনে কৃষক। চোখের সামনেই ফলনে এমন পার্থক্য বিনাধান চাষে আগ্রহী করে তোলে কৃষকদের। অনেকের অবশ্য আক্ষেপ, এবার বিনাধান চাষ না করায় ধান অনেক কম পেয়েছেন তারা।
কৃষকরা বলছেন, বিনা ধান ফলনে সময় কম লাগে, ফলন বেশি পাওয়া যায়। চাষে সময় আর শ্রম কম লাগায় বেড়েছে লাভের অংক। তবে চাহিদা বেশি থাকলেও বাজারে বিনা ধানের সংকট থাকায় অন্য জাতের কম উৎপাদনশীল ধান চাষ করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন অনেক কৃষক।
বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, সুনামগঞ্জ উপকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুন নবী মজুমদার বলেন, বিএডিসি নজরদারি বাড়ালে কৃষকরা চাহিদামতো বীজ পাবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, আগামী ৩ বছরে ফসলের উৎপাদন ৩০ ভাগ বাড়াতে বিনা উদ্ভাবিত ধান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এবার সুনামগঞ্জ জেলায় ১৩ হাজার ৯৪২ হেক্টর আমন জমিতে আবাদ হয়েছে বিনা ধান।