মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় বন্ধ হয়ে পড়ে আছে পাঁচটি রেল স্টেশন। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় অকেজো হয়ে পড়েছে কোনো কোনো স্টেশন। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে চুরি হয়ে যাচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। অন্যদিকে যাতায়াত ও মালপত্র পরিবহন করতে না পেরে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।
যাত্রী ও মালপত্র পরিবহন না করায় রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। অন্যদিকে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় স্টেশনে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ জমে ভূতুড়ে বাড়িতে পরিণত হয়েছে কোনো কোনো স্টেশন। সন্ধ্যে হলেই যা হয়ে উঠছে স্থানীয়দের আতঙ্কের নাম।
এক সময়ের ব্যস্ত স্টেশনে সময়ের পরিক্রমায় শোনা যায় না কোনো হুইসেল। নেই আগের মতো কর্মব্যস্ততাও। চারিদিকে এখন শুনশান নীরবতা। তবে স্টেশনগুলো পুনরায় চালু করতে বিভিন্ন সময় দাবি করে আসছে স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও কাজ হয়নি তাতে। উল্টো গত কয়েক মাস আগে লোকবল সংকটে বন্ধ করা হয়েছে লংলা ও ছকাপন স্টেশন।
অন্যদিকে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার টিলাগাঁও, ভাটেরা ও মনু রেলওয়ে স্টেশন এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ। এই স্টেশনগুলো চালুর দাবিতে এলাকাবাসী বার বার দাবি জানালেও বিষয়টির সুরাহা হয়নি। ফলে দেশের বিভিন্ন জেলায় পণ্য পরিবহণে সময় ও খরচ বেড়ে গেছে যাত্রীদের। এতে করে দুর্ভোগ বেড়েছে স্থানীয়দের। তবে এসব ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয় কুলাউড়া জংশনের স্টেশন মাস্টার মুহিব উদ্দিন আহমদের কাছে।
তিনি জানান, লোকবল সংকটের কারণে স্টেশনগুলো দীর্ঘদিন ধরে পরে আছে। তবে জনবল সংকট কেটে গেলেই সচল হবে স্টেশনগুলো।