ব্রাজিলের সদ্য পদচ্যুত হওয়া প্রেসিডেন্ট ডানপন্থী জইর বলসোনারোর সমর্থকরা দেশটির পুলিশ বাহিনীর সদর দপ্তরে হামলা চালিয়েছে। সোমবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানী ব্রাসিলিয়ার পুলিশ সদর দপ্তরে হামলা চালায় তারা। খবর রয়টার্সের।
প্রতিবেদনে লন্ডন ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাটি জানায়, সোমবার ব্রাসিলিয়ার ফেডারেল পুলিশের সদর দপ্তরে হামলা চালায় ডানপন্থী জইর বলসোনারোর সমর্থকরা।
এ সময় রাস্তা অবরোধ করে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে তারা।
গত ৩০ অক্টোবর ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে চূড়ান্ত দফা (রান–অফ) ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এতে বামপন্থী লুলা দা সিলভার কাছে পরাজিত হন বলসোনারো। এই ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ আনেন ডানপন্থী সাবেক এই প্রেসিডেন্ট। বিষয়টি নিয়ে হয় তদন্তও। পরে আদালত লুলাকে বিজয়ী ঘোষণা করে সনদ দেয়। তবে এখনও লুলাকে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেননি বলসোনারো। এরপরেই ফেডারেল পুলিশ দপ্তরে হামলা চালানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে রয়টার্স জানায়, ব্রাজিল ফুটবল দলের হলুদ জার্সি ও জাতীয় পতাকা নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের বাইরে জড়ো হতে থাকেন বলসোনারোর সমর্থকরা। এ সময় নিরাপত্তা কর্মীরা তাদের বাধা দেয়। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে স্টান গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে নিরাপত্তা বাহিনী। এর প্রেক্ষিতে আশেপাশের বাস ও গাড়িতে আগুন দেয় বিক্ষোভকারীরা।
ফেডারেল পুলিশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাজধানীর পুলিশ সদর দপ্তরের কাছে অশান্তি পরিচালনা করা হচ্ছে। হিংসাত্মক কাজ করার জন্য বলসোনারোর এক সমর্থককে আটক করা হয়েছে। পরে ওই আটককৃত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সোমবার বিকেলে প্রেসিডেন্টের বাসভবনের সামনে বলসোনারোর কয়েকশ সমর্থক জড়ো হন। তারা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। সামরিক হস্তক্ষেপ চেয়ে ব্যানার নিয়ে সেখানে দাঁড়ায় তারা। এতে সমর্থন দেন বলসোনারো। তবে সমর্থকদের উদ্দেশে ভাষণ দেয়নি বলসোনারো।
ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারোর কট্টর সমর্থক ৫৮ বছর বয়সী ত্রিনদাদে বলেন, ‘লুলাকে শপথ নিতে দেওয়া হবে না। বলসোনারোই জিতেছিল, তবে তারা তা চুরি করেছে। শুধুমাত্র সামরিক বাহিনীই এটা ঠিক করতে পারে। ’