ঢাকার ধামরাইয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে পড়ার ২৪ ঘণ্টা পর ঘটনাস্থল থেকে দুই যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে ধামরাই ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার সোহেল এই তথ্য জানান।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বালিথায় একেএইচ গার্মেন্টস সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
যাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তারা হলেন- মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর থানার সোবহান মির্জার ছেলে আব্দুল বাতেন (৪৫) ও ঢাকার ধামরাইয়ের শ্রীরামপুর এলাকার মো. শাহজাহানের মেয়ে মুক্তা আক্তার (৩১)।
তারা দুজনই ওই বাসের যাত্রী ছিলেন।
ধামরাই ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার সোহেল রানা বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে একেএইচ গার্মেন্টেসের সামনে সড়কের পাশে একটি ডোবায় যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যায়। যাত্রীসেবা পরিবহনের বাসটি যাত্রী নিয়ে মানিকগঞ্জ থেকে ঢাকায় যাচ্ছিল। বাসের ভেতরে সার্চ করে কাউকে তখন আটকা অবস্থায় পাইনি। তবে বাসের নিচে মানুষ আটকে থাকতে পারে বলে জানতে পেরেছিলাম। পরে হাইওয়ে পুলিশ র্যাকার দিয়ে বাসটি উদ্ধারের চেষ্টা করে। কিন্তু র্যাকার দিয়ে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, শুক্রবার ক্রেনের মাধ্যমে বাসটি ওঠানো হয়। এ সময় মুক্তা আক্তার নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে পানির নিচে তল্লাশি চালিয়ে আব্দুল বাতেন নামে আরেকজনের মরদেহ উদ্ধার করি। মরদেহ দুটি হাইওয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মানিকগঞ্জের গোলড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ খান বলেন, ক্রেনের মাধ্যমে দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় এক নারীসহ দুজনের মরদেহ পাওয়া যায়। মরদেহ দুটি থানায় রাখা হয়েছে। নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে এই ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।