২৮ ডিসেম্বর বহুল প্রত্যাশিত মেট্রোরেল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) থেকে সাধারণ যাত্রীদের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
]প্রথম দিনেই মেট্রোরেল ভ্রমণে মোট টিকেট বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ৮৫৭টি। এতে মেট্রোরেল থেকে আয় হয়েছে ২ লাখ ৭৪ হাজার ৮৬০ টাকা।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় উত্তরা থেকে মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রা শুরু হয়; যা চলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। এ সময়ে মেট্রোরেলে টিকেট কেটে ভ্রমণ করেছেন ৩ হাজার ৮৫৭ যাত্রী। এর মধ্যে সিঙ্গেল টিকেট বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ৭ শত ৫৬টি এবং মেট্রোপাস টিকিট ৯৯টি। এতে আয় হয়েছে ২ লাখ ৭৪ হাজার ৮৬০ টাকা।
এর আগে, মেট্রোরেলে ভ্রমণ করতে বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন যাত্রীরা। এই যাত্রীদের কেউ ছিলেন অফিসগামী, কেউবা এসেছিলেন পরিবারসহ। আবার অনেকেরই লক্ষ্য ছিল শুধু মেট্রোরেলে ঘোরা।
দিয়াবাড়ি স্টেশন কর্তৃপক্ষ বলছে, মেট্রোরেলে সরাসরি যাত্রার প্রথম দিন সকাল থেকেই উৎসুক জনতার ভিড় ছিল। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ ভিড় বাড়তে থাকে। যাত্রীদেরও ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। কাউন্টারগুলোতে টিকিট কাটতে যাত্রীরা দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেন। স্বয়ংক্রিয় মেশিনের সামনেও লাইন আছে। একসঙ্গে অনেক বেশি যাত্রী টিকিট কেনার কারণে মেশিনগুলো কিছু সময় পরপর হ্যাং হতে দেখা যায়। তারপরও যাত্রীদের উপচে পড়া চাপ ছিল। চাপ সামলাতে তাদের এক প্রকার হিমশিম খেতে হচ্ছে।
জানা গেছে, দিয়াবাড়ি স্টেশনে টিকিট বিক্রির স্বয়ংক্রিয় মেশিন রয়েছে তিনটি। কিছু সময় পর পর মেশিনগুলো বন্ধ হয়ে যেতে দেখা গেছে। একবার বন্ধ হলে আবার চালু হতে অন্তত পাঁচ মিনিট সময় লেগে যাচ্ছে। এতে ব্যক্তিগতভাবে টিকিট কিনতে আসা যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়।
তবে এটা নিয়ে অভিযোগ নেই যাত্রীদের। তারা বলছেন, কিছুটা সমস্যা হচ্ছে, হবে। এটা স্বাভাবিক। প্রথমদিনই যে সব কিছু ঠিকঠাক থাকবে এমন নয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব কিছু উন্নতি হবে।
এর আগে বুধবার বেলা ১১টার পর উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের সি-১ ব্লকের খেলার মাঠে নামফলক উন্মোচন করে মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৩৩ হাজার ৪৭১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ব্যয়ে উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই মেট্রোরেল নির্মাণকাজ চলছে জাপানের উন্নয়ন সংস্থা জাইকার সহযোগিতায়।
শুরুতে সীমিত পরিসরে উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলবে মেট্রোরেল। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে মেট্রোরেলে যাত্রী পরিবহন শুরু হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের ডিসেম্বর নাগাদ মেট্রোরেলে চড়ে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত যাতায়াত করা যাবে।